njonefire360PostAd

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা - প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক কিসমিস এর উপকারিতার তুলনা হয় না। কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের মধ্যে অনেক ধরনের পরিবর্তন ও আমরা হতে পারি সুস্বাস্থ্যবান। তাই আমাদের কিসমিস খাওয়ার নিয়ম জেনে নিয়ে কিসমিস নিয়মিত খাওয়া উচিত।
কিসমিস-খাওয়ার-উপকারিতা- প্রতিদিন-কতটুকু-কিসমিস-খাওয়া-উচিত-জেনে-নিন
সূচিপত্র: কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা - প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত জেনে নিন

আমরা কিসমিসের সাথে অনেক ভাবে পরিচিত। কখনো কখনো রান্নার সময় খাবারের মধ্যে কিসমিস দিলে খাবারের স্বাদ আরো বেশি হয়ে যায়। কখনো কখনো জুস এর সাথে আমরা কিসমিস খেয়ে থাকি। আবার কখনো কখনো আমরা শুধু এমনি এমনি কিসমিস খেয়ে থাকি। 

তবে আমরা যদি জানতে পারি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কতগুলো তাহলে আমরা নিয়মিত করে কিসমিস খাব। কিসমিস প্রত্যেকদিন খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের অনেক ধরনের উন্নতি ও সুস্বাস্থ্যবান হওয়া যাবে। এজন্য সর্বপ্রথম আমাদের কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা জানতে হবে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা হলো:
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি: আমরা যদি নিয়মিত কিসমিস খায় তবে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যে কারণে আমাদের হজম এর সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে।
  • ক্ষতিকর কোলেস্টোরল: আমার শরীরের মধ্যে যে সকল খারাপ কোলেস্টেরলের জন্ম নেয়। খাওয়ার মাধ্যমে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
  • হার্ট অ্যাটাক: কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এর মতন সমস্যা আমাদের থেকে দূরে থাকে। এবং কিসমিস হার্ডকে অনেক ভালো রাখে।
  • ক্যান্সার: নিয়মিত কিছু হওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যান্সার এর মতো রোগ প্রতিরোধ করতে পারব। এবং ক্যান্সার হলে আমরা এটি খেয়ে এই সমস্যা নির্মূল করতে পারবো।
  • ত্বক উজ্জ্বল: কিসমিস খাওয়ার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
  • রোগ: নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে কোন ধরনের অসুখ বা রোগ হলে সেটি সারিয়ে তুলতে অনেক দ্রুত সাহায্য করে কিসমিস।
  • গ্যাস্ট্রিক: খাবারের মধ্যে কিসমিস দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য হল। আমাদের পেটের মধ্যে যেন গ্যাস এর সৃষ্টি না হয়। তাই আমরা যদি প্রত্যেকদিন কিসমিস খায় তবে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের মতন সমস্যা কমে যাবে।
  • রক্তচাপ: নিয়মিত কিসের খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের রক্তচাপ এর সমস্যা স্বাভাবিক থাকে।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

কিসমিস এমন একটি জিনিস যেটি আমরা যদি বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি তবে এটি আমাদের সমস্যা হতে পারে। যে কারণে কিসমিস নিয়ম এর বাইরে বা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা জেনে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এতে আমাদের উপকারের বদলে ক্ষতি হবে বেশি যে কারণে কিসমিস আমাদের নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

আপনি প্রত্যেক দিন যে পরিমাণ কিসমিস খাওয়াবেন সেটি আপনি আপনার ওপর ভরসা করে খেতে পারবেন। তবে আপনি যদি ৪৫ থেকে ৫০ গ্রাম এর মত প্রত্যেকদিন কিসমিস খান তবে এটি আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। যে কারণে 45 থেকে 50 গ্রাম কিসমিস আপনি প্রত্যেকদিন খেতে পারেন।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় এমন ধরনের প্রশ্ন অনেক জনই করে থাকেন। সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় এ বিষয়ে যদি আমরা জানতে পারি তবে আমাদের কিসমিস খাওয়ার আগ্রহ আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। কেননা সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে অনেক ধরনের উপকার রয়েছে যেগুলো কল্পনাও করা যায় না। 

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে শুধু উপকার আর উপকারই দেখা যায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার ফলে হতে পারে আমাদের নানান রকম ক্ষতি। যে কারণে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী কিসমিস খাওয়া উচিত। সকাল বেলায় খালি পেটে কিসমিস খেলে যে উপকার গুলো হয় তাহলে:
  • লিভার সুস্থ রাখে: প্রত্যেকদিন কিসমিস খাওয়ার পরে আমাদের লিভারের সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকবো বা আমাদের লিভার সুস্থ থাকবে। যে কারণে আমাদের প্রত্যেক দিনই কিসমিস খাওয়া উচিত।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: গ্যাস এর সমস্যা এর কারণে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা হয়ে থাকে। আর কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • রক্ত ভালো থাকে: প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে বা লাল রক্ত কণিকার পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। যে কারণে আমাদের প্রত্যেক দিনই কিসমিস খাওয়া উচিত।
  • ঘুম: প্রত্যেকদিন কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে ঘুমের মতো সমস্যা দূর হয়। এবং নিয়মিত অনেক ভালোভাবে ঘুম হয়। যে কারণে একজন মানুষ সুস্থতা লাভ করতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আপনি যদি প্রত্যেকদিন কিসমিস খেতে পারেন তবে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যে কারণে আপনার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমে যাবে।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: আমাদের যখন গ্যাস্ট্রিকের এর সমস্যা দেখা দেয় তখন আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের। আর যখন আমরা প্রতিদিন কিসমিস খাবো তখন আমাদের গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে যে কারণে আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
  • শক্তি: নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের মধ্যে অনেক শক্তি বা এনার্জি সৃষ্টি হয় যে কারণে আমরা কখনো কাজ করতে অল্পতেই হাঁপিয়ে বা ক্লান্ত হয়ে যায় না।
  • দৃষ্টিশক্তি: নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে কেননা কিসমিসের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যেটি আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়

আমরা রূপচর্চার জন্য কত কিছুই না করে থাকি। তবে আমরা জানলে অবাক হব যে কিসমিস খেলেও আমরা ফর্সা বা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে। যে কারণে অনেকে কিসমিস খেয়ে তাদের ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতেন শুরু করে দিয়েছে এবং তারা সফলতা অর্জন করেছে। 

যে কারণে আপনি যদি কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে ফর্সা বা উজ্জ্বল করতে চান তবে আপনি প্রত্যেক দিনই কিসমিস খেতে পারেন। কেননা কিসমিসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম কপার ও পটাশিয়াম। কিসমিসে এই উপাদানগুলো থাকার কারণে ত্বক উজ্জ্বল বা ফর্সা হতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ মধু ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা কি বিস্তারিত জানুন

আবার আপনি যদি রাতের বেলায় কিসমিস পানির মধ্যে ভিজিয়ে সকালবেলা সেই পানিসহ সে কিসমিস গুলো খেতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। কেন কিসমিস এর ভেজানো পানি খাওয়ার মাধ্যমেও তো উজ্জ্বল ও সুন্দর হতে শুরু করে।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কমবেশি একই রকম। তারপরেও আপনাদের কিসমিস ভিজে খাওয়ার উপকারিতা গুলো বর্ণনা করছি। কিশমিশে ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি বলেই গণ করলেন সকলে। 
কিসমিস-ভিজিয়ে-খাওয়ার-উকারিতা-জেনে-নিন
তাই কিসমিস ভেজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল:
  • আপনি যদি কিসমিস ভিজিয়ে খান তবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হতে শুরু করবে আবার আপনি যদি কিসমিস ভিজিয়ে রাখার পরে সকাল বেলাতে কিসমিস ভেজানো পানি গুলো খান তবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু।
  • কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো ও খুবই শক্তিশালী হয়।
  • নিয়মিত কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • যারা লম্বা বা হাড় মজবুত করতে চান তারা অবশ্যই নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। কেননা নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে হার মজবুত ও শক্ত হয়।
  • আবার মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই কিসমিস খেয়ে থাকেন। আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস খান তবে আপনার মনোযোগ হবে খুবই ভালো এবং আপনি খুব সহজে কোন কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন।
  • আপনি প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। কেননা যখন আপনি ভালোভাবে ঘুমাবেন তখন আপনার কোন মানসিক চাপে মনে হবে না।
  • আপনি যদি বাড়ন্ত ছোট বাচ্চাদের নিয়মিত কিসমিস খাওয়ান তবে তাদের মস্তিষ্ক ও বুদ্ধি ও মনোযোগ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। যে কারণে বাড়ন্ত বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ানো অনেক ভালো।
এবং আরো যে উপকারিতা গুলো রয়েছে তা হল:
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ত্বক উজ্জ্বল করে।
  • হার্ট এর সমস্যা দূর করে।
  • লিভার ভালো রাখে।
  • হাড় শক্ত করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ইত্যাদি।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়য়

আমরা যদি কিসমিস প্রত্যেকদিন খাইতে হবে আমাদের অবশ্যই নিয়ম জানা প্রয়োজন। যারা নতুন নতুন কিসমিস খাওয়া শুরু করবে তারা হয়তো বা কিসমিস খাওয়ার নিয়ম না জেনে খেয়ে ফেলতে পারে। যে কারণে হতে পারে নানান ধরনের সমস্যা। যে কারণে কিসমিস কিভাবে খেতে হয় সেটি আমাদের জানা সর্বপ্রথম প্রয়োজন।

 আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস তবে আপনাকে নিয়ম করেই খেতে হবে। আপনি রাতের বেলা ঘুমানোর আগে একটি কাপ এর মধ্যে পানি নেওয়ার পরে আপনি যতটুকু কিসমিস খেতে পারবেন ততটুকুই কিসমিস পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনি ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত কিসমিস পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। 

এবং এই ভিজিয়ে রাখার সময়টুকু ছয় থেকে সাত ঘণ্টার মতো হলেই হবে। এবং পরের দিন সকালবেলা উঠে আপনি সেই কিসমিস গুলো খেতে পারবেন এবং সাথে সেই কিসমিস ভেজানো পানি গুলো আপনি খেতে পারবেন। কেননা কিসমিস ভেজানো পানি ও কিসমিস দুটোই অনেক উপকারী।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে অনেক ধরনের উপকার রয়েছে এর জন্য আমরা উপরে জানিয়েছে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের মধ্যে অনেক ধরনের শক্তি উৎপন্ন হয় এবং আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেক সুন্দর হয়ে। 

আমাদের জীবন যাত্রার সুন্দর হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের মনের মধ্যে শান্তি প্রশান্তি বইয়ের বেড়াই। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের রোগ বালাইও কম হয়। যে কারণে যে কারণে আমরা কম অসুস্থ হই। এবং কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমরা মানসিক চাপ বা ঘুম না হওয়ার মতো সমস্যা থেকে কেউ বিরত থাকতে পারে। 

কেননা কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ভালো ঘুম হতে সাহায্য। আবার আমরা কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের হার্ট এবং শরীরের আরো অন্যান্য অংশকে ভালো রাখতে পারি। যদি আমরা নিয়মিত কিসমিস খাই তবে এটি আমাদের ওজন ঠিক রাখবে এবং সেটি কমতে বা বারতে দিবেনা। 

এবং আরো অন্যান্য কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে সেগুলো উপর থেকে জেনে আসুন উপরে ভালোভাবে বিস্তারিত জানানো রয়েছে।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস ভিজে বাস শুকিয়ে বা শুধু কিসমিস খাওয়া এর উপকারিতা একই রকম। তবে আমরা যদি জানতে চাই শুকনো কিসমিস খাওয়ার ফলে কি কি উপকার রয়েছে তাহলে আমরা জানতে পারি। আমরা যদি নিয়মিত কিসমিস খাই নিতে হবে আমাদের ক্যান্সারের মতো সমস্যা দূরে থাকবে বা ক্যান্সারের সমস্যা হলে আমরা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারি
শুকনো-কিসমিস-খেলে-কি-হয়
শুকনো কিসমিস ও খেতে পারে এতে করে আমাদের ক্যান্সারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আবার যাদের ত্বকের মধ্যে দাগ বা কালচে ধরনের বা কুচকে দাগ পড়ে গেছে তারা কিসমিস খেতে পারে কেননা নিয়মিত বিজনেস খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বা এমন ধরনের দাগের সমস্যাগুলো চলে যায়।

 আবার তো কোন কিছুই আমরা অনেক সময় এমনি এমনি খেয়ে ফেলি যেটির কারণে এগুলো আমরা অনেক বেশি খেতে পারি তাই শুকনো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা আরো বেশি কেন নাই ভিজিয়ে তুলনায় শুকনো কিসমিস খেতেই বেশি ভালো লাগে।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা অনেকেই কিসমিস নিয়ম অনুযায়ী বা নিয়মের বাইরে বা স্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো না জানার পর এই কিসমিস খেয়ে ফেলি যে কারণে কিছুই খাওয়ার পরে উপকারিতার বদলে অপকারিতা হতে থাকে। এখন আমরা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা বিষয় নিয়ে আর আলোচনা করছি 

কেননা ওপরে অনেকবার কিসমিসের উপকারিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর উপকারিতার বিষয়গুলো জেনে আসতে পারেন। চলুন জেনে এসে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা গুলো:
  • আমরা যখন বেশি পরিমাণে কিসমিস খেয়ে ফেলবো তখন এটি হয়ে যেতে পারে আমাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা। কেননা কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার বা শর্করা যেটি আমাদের ডায়াবেটিস হতে সাহায্য করে। যে কারণে নিয়ম অনুযায়ী কিসমিস খাওয়া উচিত।
  • আবার আমরা যদি বেশি পরিমাণে কিসমিস খেয়ে ফেলি তবে এটি আমাদের ভূমির কারণে হতে পারে।
  • কিসমিস যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে ফেলি তবে এর কারণে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যেতে পারে।
  • আবার অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত সমস্যা হতে পারে।
এক কথায় বলতে গেলে কিসমিস খাওয়ার ফলে যে সকল উপকারিতা রয়েছে অপরদিকে কিসমিস অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলার কারণে সেই উপকারিতা গুলোর কিছু কিছু উপকারিতা উল্টো হয়ে অপকারিতা হয়ে যেতে পারে। তাই কিসমিস নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

আমাদের পরামর্শ

যে পাঠক ওপরে ‌কিসমিসের সকল ধরনের উপকারিতা ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও দিনে কতগুলো কিসমিস খেতে হবে সেই নিয়মকানুন সবকিছুই ভালোভাবে বিস্তারিত বলা রয়েছে আবার কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা ও জানানো হয়েছে। 

আমরা যদি কোন কিছু বেশি করে ফেলি তবে সেটি কখনোই ভালো নয় তেমন কিসমিস বেশি খেয়ে ফেলার কারণে সেটি আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে যে কারণে কিছু আমাদের নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। তাই নিয়ম অনুযায়ী কিসমিস খান সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url