njonefire360PostAd

প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ- প্রসাবে ইনফেকশন হলে করনীয়- ওষুধ এর বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক নিচে প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ- প্রসাবে ইনফেকশন হলে করনীয়- ওষুধ এর বিস্তারিত জানুন। আপনি যখন প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ জানতে পারবেন তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ইনফেকশন হয়েছে কিনা।
প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ- প্রসাবে-ইনফেকশন-হলে-করনীয়--ওষুধ-এর-বিস্তারিত
সূচিপত্র: প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ ও হলে করণীয়   

প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ- প্রসাবে ইনফেকশন হলে করনীয়- ওষুধ এর বিস্তারিত 

প্রস্রাবে ইনফেকশন এর বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। কেননা এটি নারী পুরুষ উভয় এসে এই রোগ দেখা দেয়। আমরা এই রোগের কোন কিছু না বুঝেই অনেক সময় ভুল চিকিৎসা করে ফেলি।  বা অনেক সময় আমরা এমনটা মনে করে ফেলি কিছু হলেই মনে করি যে আমাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে। 

তবে আমাদের প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ জেনে এর চিকিৎসা করা উচিত। নিচে প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ দেওয়া হলো:
  • প্রসাবে ইনফেকশন হলে প্রথম লক্ষণ হলো প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে।
  • আবার কখনো কখনো প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব হয়।
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে আপনি আপনার প্রশ্রাব কন্ট্রোল করতে পারবেন না। যখনই প্রস্রাব চাপাবে তখনই অনেক জোরে বেগ দিবে।
  • ইনফেকশন হলে ঘনঘন প্রস্রাব হয় যেটি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম সময়ের মধ্যে প্রস্রাব হয়।
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে প্রস্রাব থেকে অনেক দূর গন্ধ বা ঘোলাটে ধরনের প্রস্রাব হয়।
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে মাঝে মাঝে প্রস্রাবে সাহায্যে রক্ত বের হয়।
  • প্রসাবে ইনফেকশন হলে আপনার শরীরের জ্বর থাকবে। এবং ঘন ঘন জ্বর হবে।
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে মাঝে মাঝে অনেক বেশি ক্লান্ত ও বমি বমি ভাব দেখা দেয়। যেটি সবসময় হয়না মাঝে মাঝে বমি হয় আবার একটু কাজ করতে লাগলে হাঁপিয়ে যায়।
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে মানুষ এর মেজাজ ও মানসিক অবস্থা খারাপ থাকে।
  • প্রস্রাব করার সময় শরীরে কাঁপুনি বা ঝাঁকুনি দেওয়ার মতো সমস্যা হয়।

প্রসাব ইনফেকশন হলে আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি বা ভাবতে পারি না যে আমরা কি করব আর কি করবো না। এজন্য আজকে আমরা আপনাকে জানাবো প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি কি করলে আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন ভালো হয়ে যাবে। প্রসাব ইনফেকশন হলে সর্বপ্রথম আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। 


দিনে প্রায় আট থেকে দশ গ্লাস পর্যন্ত পানি পান করতে হবে। এবং আমরা যদি পারি তবে লেবু পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। ডাবের পানি খেতে হবে। এবং সব সময় ভালো খাবার খেতে হবে যেমন আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যদি আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয় তবে কখনোই আপনার প্রস্রাব আটকে রাখবেন না। এতে করে আপনার ইনফেকশন আরো বৃদ্ধি পাবে।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে

আমরা অনেক সময় ডাক্তারের কাছে যেতে পারি না।এর জন্য আমাদের জানতে হবে প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে। এবং দ্রুত প্রসাবে ইনফেকশন সারিয়ে তোলা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমরা নিজে থেকেই ওষুধ খেয়ে প্রসাবে ইনফেকশন ভালো করতে পারে অনেক সময়। প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে তাহলে:
 
নিচে কিছু আন্টি বায়োটিক উত্তর দেওয়া হলো যেগুলো সাধারণত প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে ডাক্তার দিয়ে থাকে। আপনি অবশ্যই এই ওষুধ সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এবং খাওয়ার নিয়ম জেনে নিবেন। 
  • অ্যামোক্সিসিলিন
  • নাইট্রোফুরানটোইন
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন
  • পাইরিডিয়াম

প্রস্রাবে ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে আমরা ওষুধ এর পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ও আমরা খুব দ্রুত প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর করতে পারি। এজন্য আমাদের নিচে সকল কথাগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং এর পাশাপাশি এর ওষুধও খেতে হবে। 
প্রস্রাবে-ইনফেকশনের -ঘরোয়া-উপায়-জেনে-নিন
তবে আপনি খুব দ্রুত প্রসাবে ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন। প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে ঠিক করবেন তাহলে:
  • প্রস্রাব ইনফেকশন হয় আপনার স্বাস্থ্যবিধি খারাপ হওয়ার কারণে এবং ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে। যে কারণে সর্বপ্রথম আপনি আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করুন।
  • প্রসাব ইনফেকশন হলে অনেক পুষ্টিকর খাবার খান যেমন আনারস, কমলালেবু, পেপে, স্ট্রবেরি এমন ধরনের খাবার খান।
  • অনেক পরিমানে জুস খান জুস খাওয়ার মাধ্যমে আপনার প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হবে তবে চিনি ছাড়া জোস খান।
  • সর্ব উত্তম হবে তরল পানি পান করা আপনি যদি পারেন তবে ডাবের পানি পান করতে পারেন আপনার তরল যেকোনো পানি পান করতে পারেন।
  • যখন আপনি গোসল করবেন তখন সেই পানি যেন গরম পানি হয় গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে প্রসাবে ইনফেকশন ঠিক হয়ে যায়।

প্রস্রাবে ইনফেকশন টেস্ট নাম

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে আমরা অনেক সময় টেস্ট না করে বুঝতে পারি আবার কখনো কখনো এমন ধরনের লক্ষণ হওয়ার পরও আমরা যখন টেস্ট করি। তখনই বুঝতে পারি যে আমাদের প্রসাবে ইনফেকশন হয়েছে। আবার কখনো কখনো আমাদের শরীরের মধ্যে শুধু জ্বর থাকে যে কারণে জ্বর পরীক্ষা করতে গেলেও প্রস্রাবের ইনফেকশন আমাদের ধরা পড়ে।

উপরের যে লক্ষণ গুলো রয়েছে সেই লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই প্রস্রাবের ইনফেকশন টেস্ট করতে হবে। যে টেস্ট করতে হবে তাহলে:
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন টেস্টের নাম ইউরিন কালচার টেস্ট (UTI)
এই টেস্টের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে কিনা। এর মাধ্যমে আরো বুঝতে পারবেন আপনার কিডনি ও লিভার এর কোন সমস্যা রয়েছে কিনা। তাই এই টেস্টিং করা অনেক ভালো।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক?

না অনেকেই বুঝতে পারি না দিনেও কত ঘন্টা পর পরে প্রস্রাব হলে সেটি স্বাভাবিক প্রস্রাব ধরা যায়। যে কারণে আমরা একটু বেশি প্রস্রাব হলে মনে করি যে আমাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন বা আরও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। তবে এটি একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে যে সময়ে যে বেশি পরে এবং আগে প্রস্রাব হলে সেটিকে ঘনঘন প্রস্রাব ধরা হয়। 


যেমন আপনি যদি এই তিন ঘন্টা পর পর প্রস্রাব করেন তবে সেটি স্বাভাবিক প্রস্রাব। যেমন আপনার দিনের যদি ৪ থেকে ৮ বার এর মত প্রস্রাব হয়। তবে সেটিকে স্বাভাবিক প্রস্রাব ধরা হয়। এর থেকে বেশি ১০-১২ বার প্রস্রাব হওয়া কে ঘন ঘন প্রস্রাব ধরা হয়। তবে অতিরিক্ত প্রস্রাব হলেও প্রসাবে ইনজেকশন এর লক্ষণ যেগুলো আরো আছে সেগুলোর সাথে মিলে গেলে তবে মনে করতে হবে আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে

সর্বপ্রথম আমাদের বুঝতে হবে আমাদের কি আসলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে। এর জন্য প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ গুলো ভালোভাবে বুঝে। তারপরে আমাদের বসরা এর ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না আমাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কোন ডাক্তারের কাছে যাব। যে কারণে আমরা দ্বিধায় ভরে যায় যে আমরা কোন ডাক্তারের কাছে যাব। প্রসারে ইনফেকশন হলে একজন ইউরো লজিস্টিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। 
প্রসাবে-ইনফেকশন-হলে-কোন-ডাক্তার-দেখাতে-হবে
এছাড়াও আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে যান তবে আপনি সেখানে গিয়ে কোন রুমে ইউরো লজিস্টিক ডাক্তার বসে সেই অনুযায়ী সেই রুমে গিয়ে। সাথে আপনার সকল ধরনের সমস্যা তুলে ধরুন। ও ডাক্তার যে পরীক্ষা দিবে সেই পরীক্ষাগুলো করার পরে ডাক্তারের সাথে আবার যোগাযোগ করুন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল ঔষধ সেবন করুন।

বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন কেন হয়?

মাঝে মাঝে আমাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন একবার ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আবার হয়। এর বিশেষ কয়েকটি কারণ রয়েছে যে কারণে বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয় তাহলে:
  • আমরা যখন অপরিষ্কার এবং মূত্রনালী পরিষ্কার রাখি না। ঠিকমতো তখনই ব্যাকটেরিয়া জন্মে প্রস্রাব ইনফেকশন হয়।
  • আবার অস্বাভাবিক যৌন মিলনের কারণেও বারবার ইনফেকশন হয়।
  • আবারো অনেক রয়েছে সেটি বংশ পরম্পরায় ভাবে চলে আসছে সে কারণে বারবার ইমোশন হয়।
  • আপনি যখন অনেকক্ষণ প্রস্রাব চাপানোর পরে আটকে রাখেন সেই কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়। এবং আরো অন্যান্য কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়।

আমাদের পরামর্শ 

প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষণ প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ ও এর ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি উপরে। আপনার যদি প্রস্রাবে ইনফেকশন থেকে থাকে তবে উপরের তথ্য অনুযায়ী জীবনযাপন করার মাধ্যমে আসা করা যাই আপনার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি বেশি সময় দেখা দেই তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url