njonefire360PostAd

গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় - চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার পদ্ধতি জানুন


প্রিয় পাঠক নিজে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জেনে আপনি খুব সহজেই আপনার নিজের পেটের গ্যাস দূর করতে পারবেন।
গ্যাস্ট্রিক-দূর-করার-উপায়-চিরতরে-গ্যাস্ট্রিক-দূর-করার-পদ্ধতি
সূচিপত্র: গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ও ডাক্তারি চিকিৎসা 

গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়-চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার পদ্ধতি জানুন 

দৈনন্দিন জীবনের নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। বর্তমানে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের ঔষধ, সিরাপ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে যা চিকিৎসকেরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় খাবার নিয়ন্ত্রণ করে দৈনন্দিন খাবারের তালিকা পরিবর্তন করে গ্যাস্ট্রিক নিরাময় করা সম্ভব। 

তবে গ্যাস্ট্রিক এর সঠিক সমাধান করতে হলে আগে এ বিষয়ে জানতে হবে যে কেনো গ্যাস্ট্রিক হয় এবং এর লক্ষণ গুলো কী কী তারপরেই গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জানা উচিত। গ্যাস্ট্রিক মূলত পাকস্থলীর হজম জনিত বিভিন্ন কারণ থেকে হয়ে থাকে। প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত বেশি খাবার খেয়ে ফেললে তা হজম হতে সময় লাগে এতে গ্যাসট্রিক হয়।


আবার খালি পেটে লম্বা সময় ধরে থাকলে গ্যাস্ট্রিক হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়। মূলত যা আমাদের পাকস্থলী হজম করতে পারেনা তা আমাদের শরীরে থাকলে গ্যাস্ট্রিক দেখা দেয়। এছাড়াও বেশি বেশি তেল মসলা জাতীয় খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধি পায়। 

গ্যাস্ট্রিকের প্রধান লক্ষণগুলো হলো পেটে ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সময় মত খাবার খেতে হবে এছাড়াও সারাদিন অন্ততপক্ষে তিন লিটার পানি খেতে হবে। ঘরোয়া উপায় হিসেবে কালো মেঘ গাছের পাতা, নিম পাতা একসাথে বেটে বড়ি বানিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। এগুলো হলো গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়।

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

গ্যাস্ট্রিকের উৎপত্তি হয় পাকস্থলী থেকে। পেটের নানা জটিল সমস্যা থেকেই গ্যাস্ট্রিক বাড়তে থাকে। তবে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর জন্য করলার রস,লেবু,নিম পাতা বাটা ইত্যাদি বেশ উপকারী। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় এর বিস্তারিত জানানো হলো:
  • করলার রস:করলা এমন একটি সবজি যা খেতে তেতো হলেও এতে রয়েছে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার বিশেষ কিছু উপাদান। পাকস্থলী ভালো রাখতে করলা খাওয়া উচিত। এটাকে ভাজি করে বা তরকারি রান্না করে খাওয়া যায় এছাড়াও রস করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
  • লেবু: লেবু একটি এসিড জাতীয় ফল যদিও এটি কোন ক্ষতিকর এসিড নয়। পেটের খাবার কে দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে লেবু। তেল চর্বি ও অধিক মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে যে গ্যাস্ট্রিক হয় তা থেকে মুক্তি পেতে লেবুর ভূমিকা অপরিসীম।
  • নিমপাতা: অনেক আগে থেকেই নিমপাতা গ্যাস্ট্রিকের জন্য খাওয়ার প্রচলন ছিল। নিম পাতার তেতো ভাব গ্যাস্ট্রিকের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও নিম পাতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা চর্ম রোগের জন্য বিশেষ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে তাৎক্ষণিক উপসম পাবেন যেমন - গ্যাভিসল সিরাপ।

গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ

গ্যাস্টিক হলে আমরা মূলত বিশেষ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে বুঝতে পারি। এই লক্ষণগুলো হলো পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া,বুকে ব্যথা, বমি হওয়া, মাথাব্যথা, খাবারের প্রতি অনীহা, পানিতে গন্ধ আসা ইত্যাদি।
  • পেটে ব্যথা: গ্যাস্ট্রিক হলে পেটের মধ্যে মোচড়ানো শুরু হয়। অনেক সময় হালকা ব্যাথা থেকে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।
  • পেট ফুলে যাওয়া: গ্যাস্ট্রিক হলে পাকস্থলীর ভেতরে বায়ু জমা হয় এবং খাবার হজম না হওয়ায় পেট ফুলে যায়।শরীর ভারী লাগে ও অনেক দুর্বল অনুভূতি হয়।
  • বুকে ব্যথা: বুক জ্বালাপোড়া করা: অনেক তেল চর্বি ও মশলা জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার জন্য তা হজম হতে পারে না ফলে বুকে ব্যথা হয়। গলা,বুক জ্বালাপোড়া করে।
  • বমি হওয়া: গ্যাস্ট্রিক বেশি হলে খাবার হজম না হয়ে তা আবার গলা দিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়।এমন অবস্থায় বমি হলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায়।তাই বমি হওয়াটাই উত্তম।
  • মাথা ব্যথা: গ্যাস্ট্রিক হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং মাথা ব্যথা শুরু হয়।
  • খাবারের প্রতি অনীহা: গ্যাস্ট্রিক এর একটি বিশেষ লক্ষন হচ্ছে খাবারের প্রতি অনীহা। যেকোনো ভালো লোভনীয় খাবারও খেতে অসস্থি বোধ হয়।
  • পানি পান করতে গেলে গন্ধ আসা: গ্যাস্ট্রিক হলে খাবারের স্বাদ গুন কোনোটাই বোঝা যায় না।পানি পান করতে গেলেও আয়রনের বা বাজে গন্ধ আছে বলে মনে হয়।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার

গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ও গ্যাস্ট্রিক দূর করতে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। গ্যাস্ট্রিক হলে বেশি বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। কলা খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায় তাই গ্যাস্ট্রিক হলে কলা খাবেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের জন্য পানির ভূমিকা অপরিসীম। 
গ্যাস্ট্রিক-দূর-করার-খাবার-জেনে-নিন
বেশি বেশি পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়। আরো কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে - গরম পানির সাথে আদা কুচি দিয়ে খাবেন। একটি লেবু রস করে প্রতিদিন খাবেন। খাবারে তেল মসলা কম ব্যবহার করবেন। 

খাবারে যত কম তেল মশলা থাকবে স্বাস্থ্যের জন্য সেটা ততো বেশি ভালো। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল বেশি বেশি খাবেন।পুদিনা পাতা ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খাবেন। বোরহানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে উপসম দেয়।

পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ

পাকস্থলীতে গ্যাস জমা হলে তীব্র ব্যথা হয়। এ ব্যথা কমাতে আমরা নানা ধরনের গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় বা ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে থাকি। এতে কোনো সুফল না পেলে তখন আমরা চিকিৎসকের শরনাপন্ন হ‌ই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঔষধ রয়েছে যা তাৎক্ষণিক উপসম দেয় গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে ওমিপ্রাজল অন্যতম একটি ওষুধ। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ যেগুলো খেলে দ্রুত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাকস্থলীর কার্যক্রম সচল করতে বা গ্যাস্ট্রিক কমাতে বর্তমানে কোন ঔষধের শেষ নেই। 

তবে এর মধ্যে সবগুলোই যে ভালো তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্য সুখী এড়াতে আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে তারপর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাটাই জরুরী। তাই এদিক সেদিক কোন ফার্মেসি থেকে ওষুধ না কিনে আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর ওষুধ খাওয়াটা উচিত। 

এতে কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না এবং দ্রুত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর সবার আগে যেটি হয় সেটি হচ্ছে বুকে ব্যথা এটি মূলত হয়ে থাকে গ্যাস্ট্রিকের কারণে। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ও এই ব্যথা দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা সম্ভব এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া জরুরী। 

গ্যাস্ট্রিকের বুকে ব্যথার দূর করতে সবার আগে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং একটি লেবুর রস করে খেতে হবে। তাছাড়া বাহিরে দোকানে বিভিন্ন ধরনের কোলড্রিংস পাওয়া যায়।

সকল কোল ড্রিংকস খাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত বুকের জ্বলা পোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বুকে জ্বালাপোড়া করলে যতটা সম্ভব তেল চর্বি জাতীয় বা অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। 

তবে বেশি বেশি পানি পান করলে বুকের জ্বলা পড়া থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে তেমন গ্যাস্ট্রিকের হয় না। এছাড়াও হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন কিছু কার্যকরী উপায় এর মধ্যে হচ্ছে ইনো খাওয়া। ইনো হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের কমানোর ইনস্ট্যান্ট একটি মাধ্যম।

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কুলি করে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। সারাদিন অন্ততপক্ষে তিন লিটার পানি খেলে সহজে সে ব্যক্তির গ্যাস্ট্রিক হ‌ওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এগুলো ব্যতীত প্রতিদিন সকালের নাস্তায় কোন ভারী খাবার না খেয়ে হালাকা খাবার খেতে হবে।
সকালে-কি-খেলে-গ্যাস-হবে-না
সকালে মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।এতে গ্যাসট্রিক হ‌ওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে লেবুর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

বর্তমান উন্নত বিশ্বের কাছে গ্যাস্ট্রিক আলসার কোন কঠিন রোগ নয়। এ রোগের সহজ সমাধান রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে। উন্নত যন্ত্রপাতির বা মেশিনের সাহায্যে রোগ নির্ণয় করা যায়। এছাড়াও আলসার অপারেশন করলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভব। আলসার অল্প হলে ঔষধের মাধ্যমে আস্তে আস্তে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

  • অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের মাধ্যমে দ্রুত আসলার কমিয়ে আনা সম্ভব
  • খাবারে তেল মসলা কম দিয়ে রান্না করে খেতে হবে।
  • ধুমপান বর্জন করতে হবে।
  • খুব বেশি খারাপ অবস্থা না হলে ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন করবেন না।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম

গ্যাস্ট্রিক দূর করতে বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এরপর চাইলে ইয়োগা করতে পারেন। পেটের মাসাজ করুন এতে গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে।

শীতল গরম পানি দিয়ে গোসল করুন শরীরের আলগা ভাব দূর হয়ে যাবে সহজে গ্যাস্ট্রিক হবে না। সারাদিন ছোট-বড় কাজে ব্যস্ত থাকুন। পরিশ্রমের কারনে গ্যাস্ট্রিক হ‌ওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া

গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ও গ্যাস্ট্রিক এর দূর করার দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমাদের পেটের ব্যথা ও গ্যাস দূর হতে সাহায্য করে। শরীরের যেকোনো ব্যাথা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার ব্যথার স্থানে ডান হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বোলো। এরপর সাতবার বোলো-

أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ
উচ্চারণ : ‘আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।’

অর্থ : আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।

আমাদের পরামর্শ

প্রিয় পাঠক ওপরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার পদ্ধতি ভালোভাবে বর্ণ্না দেওয়া রয়েছে। তবে পরিশেষে যেটা বলতে চাই তা হলো - মহান আল্লাহ তায়ালা রোগ দিলে তিনিই তার নিরাময় করেন।মন থেকে তার কাছে দোয়া চাইলে তিনি অবশ্যই শিফা দান করেন।

উপরের কোন অংশ যদি আপনি বুঝতে না পারেন তবে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা সেটি ভালোভাবে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করব। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস বেড়ে যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url