njonefire360PostAd

কথা কম বলার ৬ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক কথা বেশি বলার মাধ্যমে মানুষ আমাদের অন্য রকম চোখে দেখে। বা বেশি কথা বললে আমাদের কেউ মূল্য দিতে চায় না। তাই নিচে থেকে কথা কম বলার ৬ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন।
কথা-কম-বলার -৬-টি-উপায়ও-বিস্তারিত-জানুন
সূচিপত্র: কথা কম বলার ৬ টি উপায় ও বিস্তারিত  

কথা কম বলার ৬ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন

কম কথা বলার মানুষেরা যেভাবে বুদ্ধিমান

যখন আপনি চুপ থেকে কারো কথা শোনেন, বোঝেন তখন সামনের ব্যক্তিটি আপনার কাছে তার কথাগুলো বলার সুযোগ পাই। আর সামনের ব্যক্তিটি এটা ভাবেনা, যে আপনি একজন মূর্খ মানুষ। আপনি শোনেন বলে সে বলতে ভালোবাসে কারণ এই পৃথিবীতে ধৈর্য সহকারে শোনার ব্যক্তি খুবই কম।

আপনি যখন সামনের ব্যক্তিটির কথাগুলো ভালোমতো শুনবেন তখন সে ভাবে আপনি তার কথার মূল্য দিচ্ছেন। কারণ আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি আর যখন বাইরে থেকে কেউ আপনাকে বুদ্ধিমান ভাববে তখন আপনার নিজেকে প্রতি আত্মবিশ্বাসী বেড়ে যাবে। 


তখন আপনি আপনার সব ধরনের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। কেননা তখন আপনাকে সবাই বুদ্ধিমান হিসেবে মনে করবে আপনিও বুদ্ধিমান এর মতই কাজ করার চেষ্টা করবেন। এই কথা ভেবেই আপনার সবগুলো কাজ আপনি অনেক মনোযোগ সহকারে ও বুদ্ধির দ্বারা কাজ করবেন। 

যে কারণে আপনার সব কাজগুলোই ভালোমতো ও সুন্দর হবে।

বোঝানোর ক্ষেত্রে কম কথা বলা

কম কথা বলা লোকেরা একবার এই সব কথা বলতে জানে, এক লাইনেই নিজের বক্তব্য রাখার কৌশল জানে। কম কথা বলা লোকেরা কম শব্দের মধ্যেই তাদের বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বোঝাতে পারে যে আসলেই সে কি বোঝাতে যাচ্ছে। 

তাই তাদের কথা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং মানুষ অনেক ধৈর্য সহকারে কতটুকু কথাই শোনে এবং তা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করে। কেননা মানুষ তখন মনে করে যে সে সত্যি ও সঠিক কথাই বলতেছে। 
আপনি প্রয়োজনের থেকে যত বেশি শব্দকে ব্যবহার করবেন। 

ততই কম আপনার সামনের ব্যক্তিটি আপনার কথা বুঝবে। যদি আপনি আপনার ফিলিংসকে কাউকে বোঝাতে চান তাহলে আপনি যত পারেন কম শব্দ ব্যবহার করুন। অনেক ছোট ভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করো কম কথার মধ্যে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। 

যদি সে বুঝতে না চাই তবে তাকে গল্প আকারে আপনার কথাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করুন এতে করে সে আপনার কথা গুরুত্ব দেবে।

কম কথা বলা মানুষগুলো ভালো বন্ধু হয়

কম কথা বলা মানুষগুলো অনেক ভালো বন্ধু হয়। কেননা তারা অযথা কথা বলে না এবং তা আনতে এর ওপর আমাদের কখনো বিরক্তি আসেনা। এবং তারা আমাদের সব ধরনের কথা শুনে এবং ভালোভাবে বুঝে এবং সে ভালো কিছু পরামর্শ দিতে পারে। 

এর জন্য কম কথা বলা মানুষগুলো ভালো বন্ধু হতে পারে। আপনিও যদি কখনো কম কথা বলেন তখন দেখবেন যে আপনার উপর কেউ বেশি বিরক্ত হচ্ছে না। এবং আপনি যখন কোন বিষয়ে কথা বলবেন তখন আপনার কথাটা সবাই বেশি আগ্রহ সহ নিবে। 

কেননা আপনি কোন বিষয়ে কথা বলেন না কিন্তু আপনি সেই সময়তে কথা বলছেন যে সময়টাতে কথা বলাটা প্রয়োজন। এর জন্য আপনার কথাকে সবাই মূল্য দিবে।

কম কথা বলা মানুষেরা সফলতা পায় আগে

কম কথা বলা মানুষের মধ্যে সফলতা পাওয়ার চান্স খুব বেশি থাকে। যারা কম কথা বলে তাদের মধ্যে ধৈর্য প্রচুর পরিমাণে থাকে। কম কথা বলা মানুষেরা ফালতু কাজে সময় নষ্ট করে না। এইজন্যেই এদের টাইম ম্যানেজমেন্ট অনেক দ্রুত থাকে। 

কেননা একজন ব্যক্তির যখন সময় মত সব কাজ করবে এবং তার কথার একটি মূল্য থাকবে। তখন তার সবটুকু সময় এবং কথা কাজের উপর থাকবে। তাই সে অযথা সময় না নষ্ট করে কাজের প্রতি সময় দিবে তাই সে অনেক দ্রুত সফলতা লাভ করবে। 

এবং কম কথা বলা লোকেরা কথায় নয় কাজে শেষ হয় যতটা সময়  সে কথা বলে নষ্ট করত সেই কথাগুলো না বলে, সে তার কাজে সময় লাগাবে। কথা বলে সময় নষ্ট না করার জন্য তারা কোন ঝগড়া তেও যাবে না। 

যে কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন সমস্যা হবে না এবং মানুষ যাতে সাদামাটা ভাববে। এবং কথা কম বলার মাধ্যমে তারা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা যে সিদ্ধান্তটা নেই অবশ্যই সঠিক হওয়ার জন্য নেই।

কম কথা বলা লোকেরা বিশ্বাসযোগ্য হয়

কোন গোপন বিষয় তখন পর্যন্তই গোপন থাকবে। যখন পর্যন্ত সেটি কাউকে না বলা হবে। কম কথা বলা লোকেদের গোপনীয়তা খুবই শক্তিশালী হয়। কম কথা বলা লোকেদের মনের ভিতর কি চলছে এটি ধারণা করা সাধারণের লোকেদের জন্য খুবই কঠিন। 

কম কথা বলা লোকেরা কখনো এমন কিছু বলে ফেলে না যাতে এদের গোপনীয়তা সবাই জেনে যায়। যে কারণে তাদের কোন বন্ধু শত্রুতে পরিণত হলে তা নিয়ে কোন সমস্যা থাকে না। কেননা সে তার বন্ধু কেউ তার গোপন কথাটি বলবে না সে নিজের মধ্যেই তার কথাগুলো রেখে দিবে। 


এর জন্য আমাদের অবশ্যই কম কথা এবং আমাদের গোপন জিনিস গোপন রাখার প্রয়োজন। এবং আপনি যদি কোন এমন বিশ্বাসযোগ্য ও কম কথা বলা বন্ধুকে বা মানুষকে আপনার গোপন কথা বললেন এবং সমস্যার কথা বলেন সে অবশ্যই আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে। 

এবং আপনার কথা ও সমস্যা দুটি গোপন থাকবে তার কাছে। কারন সে সব সময় কম কথা বলে। যে কারণে আপনার কথাগুলো অন্য মানুষকে বলার প্রয়োজন মনে করবে না।

কম কথা বলা লোকেরা তর্কে জড়ায় না কেন

কম কথা বলার লোকেরা কখনোই তর্কে জড়ায় না। এরা নিজেদের আত্মসম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করে। যখন আমরা কারো সামনে না ভেবেচিন্তে পাগলের মত কথা বলতে থাকি। না ভেবে চিন্তে তাদেরকে এমন কোন কথা বলে ফেলি। যার সুযোগ তারা পড়ে নেওয়া চেষ্টা  করে। 

এবং তারা আমাদেরকে হালকা ভাবে নিতে শুরু করে। যখন আপনার কোন ব্যক্তির সাথে চেনা পরিচিত বাড়তে শুরু করে। যখন আপনারা বেশি কাছাকাছি হন, যখন আপনাদের সম্পর্কটা খুব দূরে বেড়ে যায়। তখন সামনের ব্যক্তির সাথে আপনার এমন কোন কথা হল যার কারণে আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা কমে গেল। 

কিন্তু যারা কম কথা বলে তারা কখনোই কারো সাথে তর্কে যায় না। এই কারণে এদের আত্মসম্মান টা ঠিক থাকে‌। কারণ এরা না ভেবেচিন্তে এমন কোন কথা বলে ফেলে না। বা এমন তর্কে জরায় না যাতে তাদের  আত্মসম্মান কমে যায়।

আমাদের পরামর্শ

আমাদের সম্মান রক্ষা করার জন্য আমাদের সব কিছু করা দরকার। যদি আমাদের সম্মান রক্ষা করতে আমাদের কম কথা বলতে হয়তো হবে সেটি সঠিক। তবে আমরা এখন কথা বলারই চেষ্টা করব। 

এর জন্য প্রিয় পাঠক আপনি কম কথা বলার চেষ্টা করুন এবং আপনার সম্মান রক্ষা করুন। ও মানুষের কাছে আত্মবিশ্বাসী ও বিশ্বাসী শীল হয়ে উঠুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url