মেট্রোরেলের টিকিট কাটার নিয়ম ও ভ্রমণের শর্ত গুলো বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক নিচে মেট্রোরেলের টিকিট কাটার নিয়ম ও ভ্রমণের শর্ত গুলো বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি বুঝতে পারবেন যে মেট্রোরেলের টিকিট কাটার নিয়ম ও ভ্রমণের শর্ত গুলো এতে আপনার অনেক সুবিধা হবে আপনি কোন ভুল ছাড়াই মেট্রোরেল এর টিকিট কাটতে ও ভ্রমণ করতে পারবেন‌।

সূচিপত্রঃ মেট্রোরেলে টিকিট কাটার নিয়ম ও ভ্রমণের শর্ত ,

মেট্রোরেলের টিকিট কাটার নিয়ম ও ভ্রমণের শর্ত গুলো বিস্তারিত জানুন

আমরা যদি মেট্রোরেল এর টিকিট কাটার নিয়ম না জানি তবে আমরা মেট্রোরেল এর ভ্রমণ করতে পারবো না। এতে আমাদের অনেক অসুবিধা হবে। আর যদি আমরা মেট্রোরেলের টিকেট না কেটে চলে যায় কিংবা এমআরটি রেপিড পাস না নিয়ে যায়। তবে আমাদের সর্বোচ্চ টিকিটের দাম ও জরিমানা করা হবে। এর জন্য আমাদের মেট্রোরেল এর টিকিট কাটার নিয়ম জানা খুবই জরুরী।

আপনি মেট্রোরেল এ প্রত্যেকটি স্টেশন দুই ধরনের টিকিট কাটতে পারবেন। একটি আপনি মেট্রোরেলের টিকেট বিক্রয় করে ওই মেশিন এর কাছে গিয়ে টিকিট কাটতে পারবেন আবার টিকিট কাটার কাউন্টারে গিয়ে ওইখানকার কর্মীদের কাছ থেকেও কেটে নিতে পারবেন।

আপনি যদি টিকিট কাটার মেশিন এর টিকিট কাটেন তবে আপনাকে জানতে হবে মেট্রোরেলের টিকিট কাটার নিয়ম। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে সর্বপ্রথম টিকিট কাটার মেশিন এর কাছে, তারপরে মনিটরে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি বাংলা নাকি ইংলিশ এ মনিটরের ভাষা চান। তারপরে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে সিঙ্গেল ও পার্মানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে।

তারপরে আপনাকে মনিটরে দেখাবে আপনি কোন স্থানে যেতে চান। সেই স্থানটি সিলেক্ট করার জন্য আপনাকে বলা হবে। এবং তার সাথে সাথে আপনাকে প্রত্যেক স্থানের ভাড়া তালিকা ও দেয়া হবে। তারপরে আপনি কয়টি টিকিট কাটবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে আপনাকে ওকে বাটনে চাপ দিতে হবে। এরপরে মেশিন আপনার কাছ থেকে টাকা চাইবে আপনি সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা আর সর্বনিম্ন ২০ টাকা দিতে পারবেন।

ঢাকা মেট্রোরেলে কিছু নেওয়ার শর্ত

মেট্রোরেলে কি কি বহন করা যাবে না আমরা যদি না, জানি তাহলে আমরা অনেক বড় সমস্যায় পড়তে পারি। তাই আমাদের জানতে হবে মেট্রোরেলে কি বহন করা যাবে না। আমরা যদি কোন লাগেজ বা সাধারণ ব্যাগ বহন করি মেট্রোরেলে তাহলে সেটি হতে হবে। ২২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ হতে হবে ১৪ ইঞ্চি এবং উচ্চতা নয় ইঞ্চির হতে হবে। এবং এর 15 কেজি এর ওজন হওয়া যাবে না।

আমরা যদি কোন প্রকার মালামাল এর কার্টুন নিয়ে যায় তবে সেইটা হতে হবে দৈর্ঘ্যতে ১৮ ইঞ্চি, প্রস্তুতে ১৮ ইঞ্চি ও উচ্চতাতে 18 ইঞ্চি এর কম নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু এর বেশি কখনোই নিয়ে যেতে পারবেন না। মেট্রোরেলে প্লাস্টিক, মোটা কাপড় ইত্যাদির তৈরি ব্যাগ ব্যবস্থা বহন করা নিষিদ্ধ।

আপনি যদি কোন পশু পাখি মেট্রোরেলে ভ্রমণ করাতে চান তবে এটি নিষিদ্ধ। কেননা এগুলো মেট্রোরেল নোংরা করে। তবে আপনি যদি অনুমতি নিতে পারেন তবে আপনার গাইড করা কুকুর নেওয়া যেতে পারে। তবে তার পূর্বে অনুমতি নেওয়া লাগবে।
  • কাঁচা বাজার: যেসব কাঁচাবাজার সবজি মাছ মাংস থেকে দুর্গন্ধ র হয়। এমন ধরণের দ্রব্য কখনো মেট্রোরেলে তোলা যাবে না।

MRT PASS কিভাবে করে


MRT PASS এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমাদের যাদের টিকেট কেটে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে অনেক অসুবিধা ও বিরক্ত মনে হয়। তাদের জন্যই এমন সুবিধা করে এমআরটি র‍্যাপিড পাস তৈরি করা হয়েছে। আপনি যখন প্রথম এই কার্ডটি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ থেকে তুলবেন আপনি সেই কার্ডটি ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

এমআরটি কার্ড নেওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম (dmtcl.gov.bd) এই ওয়েবসাইট থেকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তারপরে সেই ফর্মটি আপনার সম্পূর্ণ সত্য পরিচয় দিয়ে পূরণ করতে হবে। তারপরে সেই ফর্মটি জমা দিলেই পাওয়া যাবে এমআরটি র‍্যাপিড পাস।
নিবন্ধন করার জন্য যা যা লাগবে:
  • আপনার নিজের নাম।
  • আপনার পিতা নাম।
  • আপনার মাতার নাম।
  • আপনার পাসপোর্ট নাম্বার।
  • আপনার NID কার্ড।
  • আপনার ইমেইল এড্রেস।
  • আপনার মোবাইল নাম্বার।
এইসব গুলো দিয়ে আপনি আপনার মেট্রোরেল এর ফরমটি পূরণ করে জমা দিতে পারবেন। এমআরটি কার্ড নেওয়ার পূর্বে আপনাকে ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। এর মধ্যে ২০০ টাকা আপনার কার্ডের জন্য রেখে দেওয়া হবে।

এবং যদি আপনি কখনোই কার্ডটি ফেরত দেন তবে আপনাকে সেই ২০০ টাকা ফেরত দেয়া হবে। আর বাকি ৩০০ টাকা আপনার একাউন্টে রেখে দেয়া হবে। যেটি ব্যবহার করে আপনি মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
মেট্রোরেল দিয়ে কোথায় কোথায় যাওয়া যাবে

আমরা যখন মেট্রোরেল এ ভ্রমণ করি তখন আমাদের সময় অনেকটা কম লাগে। এতে আমাদের অনেক সময় বাঁচবে ও আমাদের জীবনযাত্রা অনেক দ্রুত হবে। মেট্রোরেল দিয়ে আমরা কোন জায়গায় অনেক দ্রুত পৌঁছে যেতে পারি। মেট্রোরেলের ৬ নাম্বার এই রুটেই 17 টি স্টেশন রয়েছে সেগুলো হলো:

  • কমলাপুর।
  • মতিঝিল।
  • সচিবালয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
  • শাহবাগ।
  • কারওয়ান বাজার।
  • ফার্মগেট।
  • বিজয় সরণি।
  • আগারগাঁও।
  • শেওড়াপাড়া।
  • কাজীপাড়া।
  • মিরপুর ১০।
  • মিরপুর ১১।
  • পল্লবী।
  • উত্তরা দক্ষিণ।
  • উত্তরা সেন্টার।
  • উত্তরা উত্তর।

মেট্রোরেলের টিকিট এর দাম কত

মেট্রোরেল এর ভ্রমণ করার মাধ্যমে যেমন আমাদের সময় বাঁচে তেমনি বাঁচে আমাদের টাকা। আমরা মেট্রোরেলে অনেক কম খরচেই যাতায়াত করতে পারি। মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ২০ টাকা। আপনি যদি উত্তরা থেকে মতিঝিলে আসেন, তবে মতিঝিলে স্টেশনে আসার পরে আপনাকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। এর বেশি ভাড়া লাগবে না।
আবার আপনি যদি উত্তরা থেকে সচিবালয় পর্যন্ত যান তাহলে আপনার ৯০ টাকা ভাড়া দেওয়া লাগবে। আর আপনি যদি উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান তাহলে, আপনার সর্বোচ্চ ভাড়া ৭০ টাকা দিতে হবে। মেট্রোরেল এর ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে।

মেট্রোরেল বন্ধ থাকে যে বার

যেকোনো ছুটিতেই চলাচল করবে কোন ছুটিতেই মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে না । তবে প্রত্যেক শুক্রবার মেট্রো রেল বন্ধ থাকে শুক্রবার বাদ প্রত্যেকদিন মেট্রোরেল চালু থাকবে।
আমাদের পরামর্শ।

মেট্রোরেল এর নিয়ম অনুযায়ী তাতে চলাচল করুন। এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ মেনে চলুন। এবং খুব সাবধানতার সাথে মিশরের ভ্রমণ করুন আপনার জিনিসপত্র আপনি নিজ দায়িত্বে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url