ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়-ব্যাংক লোন পাওয়ার সকল নিয়ম
প্রিয় পাঠক নিচে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়-ব্যাংক লোন পাওয়ার সকল নিয়ম ও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
এই আর্টিকেল ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়-ব্যাংক লোন পাওয়ার সকল নিয়ম জানাবো। যেগুলি জানার পরে আপনি খুব সহজেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
সূচিপত্র: ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ও কাগজপত্র
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়-ব্যাংক লোন পাওয়ার সকল নিয়ম
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় যদি আপনি না জানেন তবে আপনি ব্যাংক লোন পাবেন না। আপনি যদি সঠিক কাগজ জমা না দেন তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে লোন দেবে না। ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য আপনার যোগ্যতা কি সেটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আপনি যে পরিমাণ লোন পরিশোধ করতে পারবেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে সেই পরিমাণ লোনি প্রদান করবে।
এর জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আগে আপনার যোগ্যতা দেখবে তারপরে আপনাকে লোন প্রদান করবে। আর জামানত হিসেবে আপনি যদি জমি এর কাগজপত্র দিন তবে আপনার জমির মালিকানা দলিল , আপনি যে জমিটার দলিল জমা দিবেন সেই জমিটার দাম কত টাকা সেই একটি কাগজ জমা দিতে হবে, আর আপনার জমি আপনি কিভাবে বন্টন করেছেন সেই বণ্টন নামাজ দিতে হবে।
এবং আপনার জমির দলিল এর ফটোকপি জমা দিতে হবে। আপনি যদি চাকরি করেন তবে আপনার স্যালারির সার্টিফিকেট নেবে। এবং আপনার যে জামিনদার হবে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সময় তার সব ধরনের কাগজপত্র লাগবে। এই উপায় গুলো অবলম্বন করলে আপনি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন। ব্যাংক আপনাকে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী লোন দিবে।
ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে?
ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার নিজের কিছু ধরনের কাগজ লাগবে যে কাগজগুলো দিয়ে আপনি লোন নিতে পারবেন। তা হলো:
- NID : ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম লাগবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
- ছবি: ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে আপনার।
- স্বাক্ষর: লোন নেওয়ার জন্য সাদা কাগজে তিনটি নমুনা স্বাক্ষর করে নিয়ে আসতে হবে আপনাকে।
- দরখাস্ত : ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দরখাস্ত করতে হবে ও দরখাস্ত পূরণ করে তার সাথে ফ্রি প্রদান করতে হবে। (১০০০ টাকায় ৫ টাকা ভ্যাট নেই সরকার)
- আয়: আপনি কত টাকা আয় করেন এর একটি প্রমাণ পত্র ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। (যদি আপনি চাকরি করেন তবে আপনার বেতন সনদ ও ব্যবসা করলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর পরিশোধ সনদপত্র জমা দিতে হবে। ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য এই সকল কাগজপত্র গুলোই প্রয়োজন।
ক্ষুদ্র ঋণ কোথায় পাওয়া যায়?
দরিদ ও গরিব কিংবা বেকার উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ এর ব্যবস্থা করে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। আমরা যারা বেকার রয়েছি তাদের উদ্দেশ্য করে ক্ষুদ্র ঋণ দেয় সরকার।
এ ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন ধরনের জামানত দেয়ার লাগেন। যে কারণে ক্ষুদ্রঋণ নেওয়ার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে আমাদের সমাজে। আপনি কোন জামানো ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ পাবেন বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকে।
কৃষি ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়?
কৃষকদের যদি কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ না দেওয়া হয় তবে অনেক কৃষকই তার জমিতে ফসল ফলাতে পারবেনা। কেননা ফসল ফল লাগানোর জন্য টাকা প্রয়োজন। আর অনেক কৃষ্ণ কি কৃষি ব্যাংকের লোন এর ওপর নির্ভর করে তার জমিতে ফসল ফলায়। কৃষক যদি তার জমিতে ফসল ফলাতে না পারে তবে সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তিতে পড়বে।
যে কারণে কৃষকদের কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অনেক গুরুত্বের সহকারে দেখেছে। যে কারণে একজন কৃষককে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে অনেক কৃষকেরই ফসল ফলাতে অনেক সুবিধা হবে। এছাড়া আপনি যদি পুকুরে মাছ চাষ করেন তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর।
কেননা কাপ জাতীয় মাছ চাষ করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ছোট ছোট কৃষকদের জন্য ঋণ এর ব্যবস্থা করেছে সরকার সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিবে চলতি মূলধন ঋণ হিসেবে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক যে কারণে কৃষকদের কম সুদের ভিত্তিতে লোন প্রদান করে।
ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম
ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম হচ্ছে কিস্তির মাধ্যমে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করা। আপনি একসাথে অনেকগুলো কিস্তি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে আপনাকে কিস্তি হিসেবেই আপনার ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে হবে। আর আপনি যদি একসাথে অনেকগুলো না দিতে পারেন তবে।
বছরভিত্তিক হোক কিংবা মাস ভিত্তিক কিস্তি হক আপনাকে সঠিক সময়ে সেই কিস্তি গুলো দিয়ে দিতে হবে। ব্যাংকের কিস্তি মূলত মাস কিংবা বছরভিত্তিক হয়ে থাকে। আর যদি আপনি ব্যাংক লোন পরিশোধ না করতে পারেন তবে পুরো দায়ভার যাবে জামিনদা এর উপরে।
ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মাসিক কিস্তির হিসাব করার জন্য সুদের হার গণনা সূত্রটি ব্যবহার করা হয়। এই সূত্র ব্যবহার করে ই মাসিক কিস্তি কত টাকা হবে সেটি নির্ধারণ করা হয়। এর জন্য আপনি যে সূত্রটি ব্যবহার করতে পারেন তা হল
সুদ=মূল টাকা×হার×কত দিনের মেয়াদে লোন নিয়েছেন।
ব্যাংক লোনের সুদ কত টাকা
এখন বর্তমানে ব্যাংকের ঋণের সুদের হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে কারণে সুদের হার অনেক বেড়ে গিয়েছে। এখন ব্যাংক থেকে আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ গ্রহণ করবেন তার ১৩ শতাংশ আপনাকে সুদ দিতে হবে। এবং আপনি যদি সরকারি ব্যাংকে টাকা ডিপোজিট করেন তবে ৩.৫০ থেকে ৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়।
ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার শাস্তি
আপনি যদি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করেন তবে আপনার মত আরও যদি অনেকে ব্যাংকের লোন পরিশোধ না করে তবে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে। যে কারণে আমাদের ব্যাংকের লোন পরিশোধ করে দেওয়া উচিত । আপনি যদি ঋণ না দিয়ে ঋণ খেলাপি করেন তবে আপনার 6 মাস পর্যন্ত কারও দন্ড হতে পারে।
কিংবা এরপর থেকে যদি আপনি কোন ঋণ নিতে যান তবে আপনার ওপরে সর্বোচ্চ সুদের হার দিয়ে দেবে। আপনি যেটি জামানত রেখে ঋণ নিবেন আপনি যদি ঋণ পরিশোধ না করতে পারেন তবে আপনার সেই জামানতটি কোন সংস্থার কাছে বিক্রি করে দিবে।
এবং ঋণ নেওয়া সময় যে আপনার জামিনদার হবে সেই জামিনদারের ওপরে সব ঋণ পরিশোধ করার দায়ভার হয়ে যাবে।
মৃত ব্যক্তির ব্যাংক ঋণ পরিশোধ
কোনো ব্যক্তি যদি ব্যক্তিগত ঋণ নেবার পরে মারা যায় তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে কোন ধরনের ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দিতে পারবে না। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে কোন সম্পদ যেহেতু ঋণ নেওয়ার সময় জামানত হিসেবে দিতে হয় না তাই মৃত ব্যক্তির মারা যাওয়ার পরে তার কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন না বা বিক্রি করতে পারবেনা।
আমাদের পরামর্শ
আমরা ঋণ নেওয়ার পরে সঠিকভাবে তা পরিশোধ করে দেবো। নয়তোবা এমন ভাবে পরিশোধ না করলে আমাদের দেশের অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হয়। যে কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতি অনেক নিচে নেমে রয়েছে। এর জন্য আমরা ঋণ পরিশোধ করি ভালো থাকি, সুস্থ থাকি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url