অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক নিজের আলোচনায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন।


আশা করা যায় প্রিয় পাঠক আপনি এই দশটি উপায়ের মধ্যে একটি উপায়ে হলেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় জানার জন্য নিচের উপায় গুলো পড়ুন।

সূচিপত্রঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়,
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন


অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন

অনলাইন থেকে অনেক সহজেই অনেক সময় যে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা যদি সুযোগ বুঝে সেটি কাজে লাগায় তবে আমরা খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারব। কখনো কখনো অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে একটু সময় লাগে। তবে সেটি অনেক দীর্ঘ সময় ধরে ইনকাম হয়ে থাকে। আবার যখন আমরা খুব অল্প সময়তেই টাকা ইনকাম করা নিয়ে ব্যস্ত থাকব।

তখন আমাদের সেই উপার্জনটি খুব সীমিত আকারে এবং খুব কম সময়ের জন্য উপার্জিত হবে। সেটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কখনোই হতে পারে না। তাই আমরা এমন কিছু কাজ শিখবো এবং করব যেগুলো আমাদের ভবিষ্যতেও কাজে লাগে। আমরা ভবিষ্যৎ বুঝে সেই কাজগুলো করতে পারি এর জন্য অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা ১০ টি উপায় হলো:
  • ইউটিউব মার্কেটিং।
  • লেখালেখি।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • ফ্রিল্যান্সিং।
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করে।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন করে।
  • অনলাইন কোর্স বিক্রি।
  • ফেসবুক মার্কেটিং।
  • এডিটিং।

ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube marketing)

এখন অনেকেই মনে করেন যে ইউটিউব ভিডিও করার মাধ্যমে সে তার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে। তাই সে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ও সে সেখানে ভিডিও বানাতে থাকে একসময় তার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন অন হয়ে যায়। তখন থেকে সে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা পাওয়া শুরু করে। এমনভাবে youtube মার্কেটিং করা যায়। 

এখনকার সময়মতে youtube হল সব থেকে জনপ্রিয় ইনকাম করার একটি মাধ্যম। এর মধ্যে আপনি অনেক ধরনের কনটেন্ট ছাড়তে পারবেন এবং এই কন্টেন্ট ছাড়ার মাধ্যমে আপনি স্টুডেন্ট বয়স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার ভিডিও গুলো হতে হবে সুন্দর ও মানুষ যেন দেখে এমন ধরনের।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে কত টাকা পাওয়া যায় বিস্তারিত জানুন

আপনার যখন একটি ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়ে যাবে। তখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যালেন এর জন্য মনিটাইজেশন অনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপরেও যদি আপনি আপনার youtube চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন না করাতে পারেন তারপরেও এর বিকল্প বুদ্ধি আছে। 

আপনি আপনার চ্যালেনে প্রোডাক্ট এর ভিডিও বানিয়ে। সেই প্রোডাক্টগুলো আপনার ভিউয়ারদের কাছে বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন। 

লেখালেখি (article writing)

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক বড় একটি সহজ উপায় হলো আর্টিকেল রাইটিং করা। আপনি যদি লিখাতে ভালো হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি অবশ্যই আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করতে পারেন। কেননা আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে। এবং সব সময়তেই এই কাজটি আপনি করতে পারবেন। 

কেননা কোন ভিডিও বানাতে গেলে একটি কনটেন্ট লাগে আপনি কনটেন্ট ও লিখতে পারেন। আবার সব ওয়েবসাইট এই আর্টিকেল প্রয়োজন হয় এর জন্য আর্টিকেল লিখতে হয়। আপনি কোনো ওয়েবসাইটের হয়ে যদি আর্টিকেল লিখেন তাহলে সেখান থেকে অনেক ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আর্টিকেল এর কাজ যে সব ওয়েবসাইটে করতে পারেন তা হলো:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি কাজ যেখানে আপনি কোন টাকা ইনভেস্ট না করেই সেখান থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু অন্যদের পণ্য বিক্রয় করে বা সেবা প্রচার করার মাধ্যমে। আপনি শুধু অন্য দের সেবা ও পণ্য বিক্রি করে দিবেন আর সেখান থেকে আপনি তাদের কমিশন পাবেন।
 আপনি যদি কোন পণ্যে বা সেবার অ্যাফিলিয়েট করে সেগুলো বিক্রি করে দেন। তবে সেইখান থেকে আপনি ৫% থেকে ১০% এর মত কমিশন পাবেন। যেটি যেটি অনেকটাই লাভজনক হয়ে উঠবে একজন স্টুডেন্ট এর জন্য। বাংলাদেশী যেসব ওয়েবসাইটে আপনি অ্যাফিলিয়েট করতে পারবেন তা হল:

ফ্রিল্যান্সিং করে (Freelancing)

এখন টাকা ইনকাম করার অনেক সহজ মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এখনকার তরুণ প্রজন্মের সকলেরই মনের ইচ্ছা সে একজন ফ্রিল্যান্সার হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং এ যে কোন কোম্পানিতে অথবা বায়ার বা ক্লায়েন্টের কাজ করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধু আপনাকে কাজের বিষয়ে একটু অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে।

তারপরে আপনি যে কোন কোম্পানিতে ঘণ্টার ভিত্তিক অথবা গিক সার্ভিস মাধ্যমে একটি ক্লায়েন্টের কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আপনি যেখান থেকে পাবেন সেগুলো হলো:

সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করে (Work on social media) 

সোশ্যাল মার্কেটিং হল কিছুটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত। আপনার যদি কোন বড় ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকে যেখানে অনেক বেশি ফলোয়ার কিংবা সাবস্ক্রাইবার। সেইখানে আপনি যে কোন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে।

 তাদের বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করার মাধ্যমে আপনার চ্যালেনে বা পেইজে সেখান থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এগুলো আপনি যেসব হোসাইন ম্যাডাম মাধ্যমে করতে পারবেন সেগুলো হলো:
  • ফেসবুক।
  •  টুইটার।
  •  ইনস্টাগ্রাম ।
  •  লিংকডিন।
  •  টিক টক ইত্যাদি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে (graphics design)

অনলাইনে কাজের মধ্যে সব থেকে নির্ভরযোগ্য ও অনেক দীর্ঘ সময় ধরে ইনকাম করা যাবে। এমন কাজটি হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার মাধ্যমে আপনি অসংখ্য টাকা উপার্জিত করতে পারবেন। তবে শুধু আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে হবে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো হবে শিখতে হবে।

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যান তবে আপনার কাজের অভাব হবে না। কেননা গ্রাফিক্স ডিজাইন যদি যায় সব জায়গাতে এখন প্রয়োজন হয় কোন কোম্পানির লোগো ,ব্যানার ,পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করতে হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন করে। আবার আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হোন তবে আপনি আপনার ক্লায়েন্টের কাছে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে দিয়ে টাকা উপার্জিত করতে পারবেন।

অনলাইন কোর্স বিক্রি (Online course feedback)

বেশি পরিশ্রম ছাড়াই একবার শুধু আপনি যদি একটি অনলাইন কোচ তৈরি করতে পারেন। তবে আপনি সেটি অনেকের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি কে শুধু একবার এটি কোচ এর ভিডিও তৈরি করতে হবে। তারপরে আপনি সেটে অনলাইনে বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ আপনি সেই বিষয়ে একটি অনলাইন কোচ তৈরি করে। 

সেটি বিক্রি করতে পারেন সেটি হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এডিটিং ,ফেসবুক মার্কেটিং, পড়ালেখার বিষয়, নুডুলস বানানো, বিরিয়ানি বানানো, গিটার বাজানো ইত্যাদি। এটিতে আপনার কোন ধরণের টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আপনাকে শুধু আপনার দক্ষতা দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে। সেগুলো পেড ভিডিও করে অনলাইনে মানুষের কাছে সেল করতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং (Facebook marketing)

ফেসবুক মার্কেটিং হল ইউটিউব মার্কেটিং এর মত আপনি আপনার ভালো মানের ভিডিও বানানোর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনার যদি একটি বড় ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে আপনি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করে। সেই কোম্পানি থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এডিটিং (editing)

বর্তমান ও ভবিষ্যতের সবথেকে ভালো একটি দক্ষতা হয়ে দাঁড়াবে এডিটিং। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে এডিটিং শিখতে পারেন আর এডিটিং এ দক্ষ হয়ে ওঠেন তবে আপনাকে আর আপনার জীবনে পিছে ঘুরে দাঁড়াতে হবে না। কেননা এডিটিং মূল্য এমন একটি কাজে আপনি করে অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

একটি ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে হয়তোবা আপনি ১৫-২০ হাজার টাকাও পেতে পারেন তারও বেশি টাকা পেতে পারেন। এডিটিং এর দক্ষতা সবার মধ্যে থাকে না। যদি আপনি এটি মনোযোগ দিয়ে শিখে কাজে লাগাতে পারেন তবে আপনার জীবন সফল হয়ে দাঁড়াবে। তাই এডিটিং শিখে ভালো মতো কাজ করতে পারেন। 

আমাদের পরামর্শ 

সবগুলো কাজে আমাদের মনোযোগ দিয়ে শিখে তারপরে পড়া উচিত। কেন না যখন আপনি কোন ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজ পাবেন। তার পরে যদি আপনি কোন কাজ করতে ভুল করেন তবে সেই ক্লায়েন্ট আপনাকে দ্বিতীয়বার আর কাজ দিবে না। এর জন্য ভালোভাবে কাজগুলো শিখে তারপরে কাজ করার চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url