শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা কি কি? ও অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা কি কি? ও অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানুন। নিচে বিস্তারিত জানানো হলো।
এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি জানতে পারবেন শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা।
সূচিপত্রঃ শীতকালে বিয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা,
শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা
শীতকালে বিয়ে করা মানুষরাই বলে যে শীতকালে বিয়ে করার অনেক ভালো উপকারিতা রয়েছে। আবার শীতকালে বিয়ে করার অপকারিতা ও রয়েছে। আমরা এখন জানবো শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা। ও শীতকালে এর মৌসুমে শুধু বিয়েই লেগে থাকে। আর মানুষের বিয়ে খেতে খেতে জীবন শেষ হয়ে যায়।
আবার অনেক এমনটাও আছে যারা একটাও দাওয়াত পায় না। কারণ অনেক মানুষ মনে করে শীতকালে বিয়ে করলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। আসলে শীতকালে বিয়ে করলে তেমন কোন সমস্যা হয় না।
আমরা এখন জানবো শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা।
- ফসল: আমাদের দেশ হলো কৃষি প্রধান দেশ আর শীতকালেই কৃষকদের জমি থেকে ফসল উড়তে শুরু করে। আর কৃষকদের একমাত্র অর্থের উৎস হলো তাদের জমির ফসল। তাই শীতকালে ফসল ওঠার কারণে কৃষকদের পরিবারের শীতকালে বেশি বিয়ে দেখা যায়।
- ছুটি: আমাদের সমাজে অনেক চাকরিজীবী লোক রয়েছে। তাদের ছুটি সব সময় পাওয়া যায় না। শীতের ছুটি বেশিরভাগ চাকরিজীবীরাই ছুটি পায় সেই জন্য শীতের মধ্যে সবাই বিয়ে করে। আবার স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। যে কারণে কারো আসতে সমস্যা হয় না বিয়ের দাওয়াত খেতে।
- কনেকে সুন্দর দেখায়: শীতকাল এলেই সবার চেহারা যেন একটু সুন্দর হয়ে ওঠে। আবার শীতকালে গরম থাকে না যে কারণে কনে মেকআপ করে সাজলে গরমের চোটে ঘেমে যাই না। যে কারণে কোণে কে সুন্দর দেখায়। এবং কনের ইচ্ছেমতো কোণে সাজতে পারে। কনের সাজার স্বাধীনতা পেয়ে যাই
- খাওয়া দাওয়া: গরমের সময় এমনিতেই শরীর অনেক খারাপ থাকে। তারপরেও আমরা যদি একটু বেশি খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের পেটের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আমরা যদি শীতের সময় একটু বেশি করেও খেয়ে ফেলি তবুও আমাদের পেটের মধ্যে সমস্যা হয় না কেননা শীতের সময় গরম পড়ে না ।
- কাজকর্ম: বিয়ের অনুষ্ঠান মানে অনেক খাটাখাটনি করা লাগে। যে কারণে গরমের সময় এটি করা অনেকটা কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। তাই শীতকালে আপনি যত খুশি কাজ করেন আপনি বেশি কাজ করার পরেও অল্প একটু হাঁপাবেন।
- সৌন্দর্য: শীতকাল হচ্ছে ফুলের সময়। শীতকালে সব ধরনের ফুল ফোটে। যে কারণে বিয়ের বাড়ি সাজাতে ফুল দিয়ে অনেকটাই সহজ হয়ে ওঠে। আবার অনেক ধরনের ফুল দিয়েও বাসর ঘর সাজানো যায় শীতের সময়।
- হানিমুন: একটি বিবাহিত মানুষের জন্য হানিমুন হচ্ছে অনেক ভালো একটি সময় । তাই হানিমুন করার জন্য শীতকালে ভালো সময়। আপনি সেই সময়তে সমুদ্র পাহাড় সব জায়গাতেই ঘুরতে পারবেন।
- ভালোবাসা: যারা বিয়ে করে তারা অনেকেই বলে যে শীতকালের মধ্যে বিয়ে করলে নাকি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বেশি হয়। এর জন্যই শীতকালের মধ্যে ছেলেমেয়ে বিয়ে করতে চায়।
শীতের মধ্যে যেমন বিয়ে করলে উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে।
যদি আপনার বাসা গ্রামের মধ্যে হয়তো আপনাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় অনেক ভালোভাবে। সেখানে রঙ আবীর দেয়া দিই চলে। আবার কখনো কখনো কারো গায়ে পানি দেওয়া। কাউকে হঠাৎ করে গোসল করানো। এমন করার জন্য শীতকালে একদমই সঠিক সময় নয়।
যে কারণে বিয়ে খেতে এসে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। আবার যখন স্বামী স্ত্রী সহবাসের পরে রাতে গোসল করতে যাই তখন অনেক ঠান্ডা হবার কারণে গোসল করে তারা অসুস্থ হতে পারে। তা বাদে তেমন কোনো অপকারিতা নেই।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ শীতকালে বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা জানলেন। নিচে আরও জানানোর রয়েছে শীতকালে বিয়ে করলে রোমান্টিক হয় কেন। ও বিয়ের অন্যান্য বিষয়। চাইলে পড়তে পারেন।
শীতকালে কি বিয়ে হয়?
শীতকালে অনেক পরিমাণে বিয়ের চাহিদা থাকে এর জন্য বেশিরভাগ মানুষই চায় যে সে যেন শীতকালে বিয়ে করবে। শীতকালে বিয়ে করার অনেক উপকারিতা রয়েছে এর জন্য অনেক মানুষই শীতকালে বিয়ে করে।
এবং শীতকালে বিয়ে করা যায়, বিয়েতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। এর জন্যই মানুষ বেশি বেশি করে শীতকালে বিয়ে করে। শীতকালের মত সময়ে ছাড়া অন্য সময় বিয়ে করে তেমনটা মজা হয় না।
শীতের কোন মাসে বিয়ে করা ভালো?
মূলত অনেক শীতের মধ্যে বিয়ে করা ঠিক না। এতে বিয়ের অনুষ্ঠান এর আয়োজন করতে অনেক অসুবিধা হয়। যে কারণে অনেকেই বেশি শীতের মধ্যে বিয়ে করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে না। তাই বেশি শীতের মধ্যে বিয়ের আমেজ তেমন থাকে না। তবে আমাদের জানার বিষয় হল এখন যে কোন সময়তে তাহলে শীতকালের জন্য বিয়ে করা উচিত।
আমরা যখনই অনেক বেশি শীতের মধ্যে বিয়ে করবো তখন সমস্যা দেখা দিবে। আর যদি আমরা শীত শুরু হবার আগেই বিয়ে করে ফেলি তাহলে আমরা বিয়ের অনেকটা আনন্দ ভোগ করতে পারব। এর জন্য আমাদের মে থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যেই বিয়ে করে ফেলা উচিত।
তখন উষ্ণ উষ্ণ গরম হালকা শীত, আবার হালকা রোদ। এমন আবহাওয়াতে বিয়ে করার মজাই আলাদা। আপনি আপনার মেহমানদের অনেক ভালোভাবে আপ্যায়ন করতে পারবেন এমন সময়। এর জন্য অতিরিক্ত শীতের মধ্যে বিয়ে না করে মে থেকে অক্টোবর বা নভেম্বর মাসের মধ্যে বিয়ে করে ফেলুন।
শীতকাল কেন রোমান্টিক হয়?
শীতকাল হলো বিবাহিতদের জন্য অনেক জনপ্রিয় ও পছন্দনীয় ঋতু। কেননা শীতকালের মধ্যে অনেক প্রেম ও রোমান্টিকতা কাজ করে। কেননা শীতকালের মধ্যে একি লেপ কম্বল এর নিচে দুজন স্বামী স্ত্রী থাকে। যে কারণে তাদের শরীরে স্পর্শ একে অপরের শরীরে করে। এতে তারা খুবই দ্রুত রোমান্টিক হয়ে পড়ে।
বিবাহিতদের শীতকালে লেপের মধ্যে ঢুকলে খুব দ্রুতই শরীর গরম হয়ে যায় ও তারা অনেক আনন্দ ফিল করে। এবং তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। শীতকালে বিবাহিতদের প্রত্যেকটি রাতেই যেন অনেক মধুময় কাটে। যে কারণে শীতকাল অনেক রোমান্টিক হয়।
শীতকালে মানুষ বিয়ে করে কেন?
আমাদের ঋতুতে বারো মাস রয়েছে। কিন্তু শীতকালে মানুষ সব থেকে বেশি বিয়ে করে। কেননা বাঙালি জাতির শীতকালের সাথে একটি অনেক পুরনো সম্পর্ক। বাঙ্গালীদের শীতকালের সময়তেই নতুন ধার ওঠা শুরু করে। আর সেই নতুন ধান দিয়ে অনেক আয়োজন করা যায়। এর জন্য বিয়ের সময় শীতকালে নতুন ধান দিয়ে ভাত রান্না করে খাওয়ানোর মজাই আলাদা।
আবার শীতকালে বৃষ্টি হয় না। যে কারণে বিয়ের অনুষ্ঠান করে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। বিয়ের অনুষ্ঠান এর খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে মেকআপ করা সবকিছুই শীতকালের মধ্যে ভালো হয়। আবার শীতকালের মধ্যে যারা দাওয়াত খেতে আসবে তাদেরও অনেক সুবিধা হয়।
আরো পড়ুনঃ মধু ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা কি বিস্তারিত জানুন
কেননা শীতকালের মধ্যে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সম্ভব বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠা নিয়ে ছুটি দেয়। যে কারণে সবাই আসতে পারে বিয়ে খেতে। আবার শীতকালে কোন ধরনের তেমন গরম লাগে না, যে কারণে পেটের সমস্যা হয় না। মানুষ বিয়ে খেতে এসে অনেক আনন্দ পাই। এবং শান্তি ফিল করে।
বিয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঋতু কোনটি?
শীতকালে এত এত উপকারিতা থাকার কারণে মানুষ শীতকালে বেশি বিয়ে করতে পছন্দ করে। আর বিয়ের সব থেকে ভালো ও জনপ্রিয় ঋতু হল শীতকাল। বিয়ের সম্পর্ক শীতকালের স্বার্থে কোনভাবেই নেই। কিন্তু শীতকালে বিয়ে করার মাধ্যমে একটি আরামদায়ক মনোমোর পরিবেশ পাওয়া যায় যে কারণে সবাই শীতকালে বিয়ে করে।
আমাদের পরামর্শ
বিয়ে হল একটি অনেক আনন্দময় ও ভালো উৎসব। আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের দ্বারা যেন একে অপরের কোন ক্ষতি বা কষ্ট না পায় কেউ। এবং মন খুলে বর ও কোণের জন্য প্রার্থনা করতে হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url