চুলকানির ও দাউদ ঘরোয়া চিকিৎসার ৭ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন।
প্রিয় পাঠক নিচে আলোচনা থেকে চুলকানির ও দাউদ ঘরোয়া চিকিৎসার ৭ টি উপায় ও বিস্তারিত জানুন।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাবো দাউদ ও চুলকানি থেকে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষায় রাখবেন। ও এর ঘরোয়া চিকিৎসা কি? চুলকানি ও দাউদ হইলে কি ওষুধ খাইতে হবে বা কি করলে চুলকানি ও দাওয়াত ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা রয়েছে।
সূচিপত্রঃ চুলকানির দাউদ এর ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ,
চুলকানির ও দাউদ ঘরোয়া চিকিৎসা
আমাদের দেশের অনেক মানুষেরই এখন চুলকানি ও দাউদ হচ্ছে। এটি আমাদের দেশে মহামারীর মতো করে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি বেশিরভাগ মানুষেরই হচ্ছে। এখন দাউদ ও চুলকানি মনে হচ্ছে যে কমন একটি বিষয় সবারই হচ্ছে। আশপাশে যাদের দাউদ বা চুলকানি আছে তাদের স্পর্শ থেকেই আমাদের চুলকানি ও দাউদ হচ্ছে।
এই চুলকানি ও দাউদ আমাদের পক্ষে দূর করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা এই দাউদ বা চুলকানি কিভাবে ঘরোয়া উপায় কি করা যায় এই নিয়ম জানবো:
- আমাদের যে সকল মানুষের দাউদ চুলকানির রয়েছে তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত এবং তাদের স্পর্শে না যাওয়া উচিত।
- তাদের কোন জামা কাপড় আমাদের না ব্যবহার করা উচিত এতে আমাদের চুলকানি হতে পারে।
- আমাদের যেইখানে দাউদ বা চুলকানি হয়েছে সেখানে হাত দিয়ে চুলকানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি খুব বেশি চুলকাতে ইচ্ছে হয় তাহলে আমাদের অন্য কিছু ব্যবহার করে চুলকাতে হবে। এবং বেশি চুলকানো যাবে না।
- চুলকানি বা দাউদ হলে আমাদের কখনো সাধারন শ্যাম্পু বা সাধারণ সাবান ব্যবহার করা যাবে না। এতে আমাদের চুলকানি আরো বাড়বে।
- আমাদের এলার্জিজনিত কোন কিছু খাওয়া যাবে না, যেমন গরুর মাংস, পাঙ্গাস মাছ, মসুরের ডাল, বেগুন ইত্যাদি। যে সকল খাবারে এলার্জি হয় সে কোন খাবারই খাওয়া যাবেনা।
- পরিষ্কার পানির মধ্যে নিমপাতা দিয়ে সেই গুলো গরম করে সেই নিম পাতার পানি দিয়ে আমাদের গোসল করার মাধ্যমে আমাদের চুলকানি বা দাউদ ঠিক হতে সাহায্য করবে।
- আপনি চাইলে এলোভেরা ডালের মধ্যে জেল থাকে। সেই জেলটি আপনার চুলকানি বা দাউদের ওই খানে দিতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে যেখানে দাউদ হয়েছে সেখানে খুব দ্রুতই ভালো হয়ে যাবে। কেননা এলোভেরা সব সময় আপনার স্কিনকে শুষ্ক না থাকতে সাহায্য করে।
দাউদ দেখতে কেমন হয়
দাউদ দেখতে কেমন হয় এটা আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। কেননা আমরা যদি দাউদ চিনতে না, পারি তাহলে আমরা ভালোভাবে সেটির চিকিৎসা করতে পারবো না। আমরা বুঝতে পারবো না যে দাউদ হয়েছে নাকি অন্য কিছু হয়েছে এইটা। তাই আমাদের দাউদ সম্পর্কে জানা ও দাউদ দেখতে কেমন হয় এটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দাউদ হওয়ার পূর্বে যে স্থানে দাউদ হবে সেই স্থানে কিছুটা লাল বর্ণের গোটা বা সেই স্থানটি হালকা লাল হয়ে থাকে। এবং তার কিছুদিন পরেই সেই স্থানটি হালকা খুসখুস করে চুলকায়। এবং সেই স্থানটি হালকা সাদা বর্ণের হয়ে যায় এবং তার চারিপাশ দিয়ে হালকা উঁচু হয়ে যায়। সেই সাদা বর্ণের স্থানটি নিচু হয়ে থাকে এবং চারি সাইট দিয়ে গোল আকৃতির হয়ে যায়।
দাউদ যতদিন পুরনো হয় দাউদের গোল আকৃতির ধরনটিও তত বড় হয়ে যায়। আস্তে আস্তে বাড়তেই থাকে। যদি এর সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে এটি ভালো হতেই চাইবে না। তাই আমাদের দাউদ ভালো করে চিনে তারপরে সেটির চিকিৎসা করতে হবে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা হলো চর্মরোগের দুশমন। কেননা প্রত্যেকটি চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে চর্মরোগ গুলো খুব দ্রুতই ভালো হয়ে যায়। এর জন্য আমরা চুলকানিতে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারি। এটি আমাদের শরীরের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমরা চুলকানিতে নিম পাতা ব্যবহার করে আমাদের চুলকানি ভালো করতে পারি।
এর জন্য আমাদের জানতে হবে নিমপাতা ব্যবহার করার নিয়ম। প্রথমে আমরা এক কাপ নিমপাতা নিয়ে নেব। তারপরে সেই নিমপাতা গুলো ভালো করে ব্লেন্ড করে নেব। তারপরে কোন কিছুর সাহায্য নিম পাতার রসগুলো একটি বাটিতে দিয়ে নেব। হতে পারে সেই ছ্যাটনা টা ভালো শুকনো কাপড়।
আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম- চুল পড়া বন্ধ -ফর্সা হওয়ার উপায় ও বিস্তারিত
তারপরে সেই নিমপাতার রসে আমরা ,মিশিয়ে নেব এক দুই ফোটা টি ট্রি তেল। এবং সেটি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে। চুলকানির স্থানে মাসাজ করব। এবং তা এক ঘন্টা দুই ঘন্টা পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেলবো।
দ্বিতীয় আরেকটি কাজ আমরা করতে পারি। আমরা যদি নিম পাতা গুলো একটি পাতিলের মধ্যে নিয়ে পানি দিয়ে সেটিকে গরম করে সে নিম পাতার গরম পানি দিয়ে, যদি আমরা গোসল করি। তাহলে আমাদের চুলকানি আশা করা যায় ভালো হবে এবং এটি খুব উপকারি। চুলকানি হলে গ্রামের মানুষ রা এমনটাই করে গোসল করে এতে তাদের চুলকানি ভালো হয়ে যায়।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
দাউদ হল একটি ছোঁয়াচে রোগের মত। তাই এটি আমাদের পরিবারের একজনের হলে সবারই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য আমাদের এটি খুব দ্রুত ভালো করে ফেলা উচিত। কিন্তু দাউদ মূলত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় না, এটি ভালো হতে সময় লাগে।
এটি ভালো হতে কোন কোন সময় এক মাস, দুই মাস কিংবা চার মাসও সময় লেগে যেতে পারে। এটি ভালো হতে অনেক সময় লাগে কারণ এটি চরম রোগ ও এটি ছোঁয়াচে রোগ তাই।
আমরা দাউদের জন্য যে মহলম গুলো ব্যবহার করতে পারি তা হলো:
- Lullizol cream.
- Fungidal cream.
- Ebarconazole cream.
- Oxifun lotion.
এইসব গুলোর মধ্যে মলম লাগানোর জন্য lullizol cream টাই আমি ভালো মনে করি , কারণ এটি আমি ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছি।
দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান
চুলকানির সময়তে এমনিতে সাধারণ কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এবং দাউদের সময় যেও কোন সাধারণ শ্যাম্পু বাস সাবান ব্যবহার করা মোটেও ভালো কাজ না।
এর জন্য আমরা যা ব্যবহার করতে পারি তা হলো : লুলিকোনাজোল সাবান: এটি মাখার মাধ্যমে আপনার শরীরে চুলকানি থাকলে সেটি ভালো হতে সাহায্য করবে। কিছু সময় ধরে সাবানটি মেখে নিতে হবে এবং সেটি যখন আপনার শরীরে শুকিয়ে আসবে সে সময়তে গোসল করে নিতে হবে। এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ নাম কি
শুধু মলম মাখলে আমাদের দাউদ ঠিক হবে না। তাই এর সাথে আমাদের খেতে হবে কিছু ওষুধ। এতে করে আমাদের চার পাঁচ মাস যেখানে দাউদ ঠিক হতে সময় লাগে। সেখানে আমাদের হয়তো বা একটু কম সময় লাগবে ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে। এর জন্য আমাদের দাউদ হলে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমরা দাউদ হলে যে ওষুধ খেতে পারে সেগুলো হলো:
- Tab Terbex 250 mg : এটি প্রত্যেকদিন রাতে একটা করে খেতে হবে ১৪ দিন।
- Tab Fexo120 mg : প্রত্যেকদিন রাতে একটা করে এটিও ১৪ দিন খেতে হবে।
- Tab Famotack 20 mg : এটি আপনাকে সকালে ও রাতে খেতে হবে একটা করে ১৪ দিন।
- Lulizol cream :এটি আপনার যেখানে আক্রান্ত হয়েছে দাউদের সেখানে রাতে ও
চুলকানি চাকা চাকা কি করনীয়
চুলকানি হলে আমাদের ভয় না পেয়ে এটির প্রতিকার করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই চুলকানি বা দাউদের প্রতিকার করতে হবে। এটি একজন থেকে আরেকজনের কাছে চলে যায়। এর জন্য আপনার কাছ থেকে অন্য জনের কাছে, অন্যজনের কাছ থেকে তার অন্যজনের কাছে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ত্বক উজ্জল এবং ফর্সা করার ১০ টি সঠিক নিয়ম ও বিস্তারিত জানুন
তাই চুলকানি আমাদের ঠিক করতে হবে খুব দ্রুতই। এর জন্য ওপরে লেখা সাবান ক্রিম ও ওষুধ ও ঘরোয়া উপায়ে আপনি চিকিৎসা করলে আপনি ঠিকই আপনার চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
আমাদের পরামর্শ
এইখানে যেসব মলম, ওষুধ, সাবান ও ঘরোয়া উপায় লিখা আছে। সবগুলো আমরা নিজেরা ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছি। মূলত আমারও চুলকানি ছিল। তাই আমি এগুলো ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আমাদের কাজই হলো আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই যদি বেশি চুলকানি বা দাউদ এর দেখা দেয়। তাহলে আপনি আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url