ত্বক উজ্জল এবং ফর্সা করার ১০ টি সঠিক নিয়ম ও বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক নিচে বর্ণনা করা রয়েছে ত্বক উজ্জল এবং ফর্সা করার ১০ টি সঠিক নিয়ম ও বিস্তারিত ।
ত্বক উজ্জল এবং ফর্সা করার ১০ টি সঠিক নিয়ম ও বিস্তারিত জানুন


আজকে আমরা জানবো কিভাবে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর দশটি নিয়ম। এই নিয়মগুলো প্রাকৃতিক যা আপনার ত্বককে কোন রকম ক্ষতি ছাড়াই আপনাকে করে তুলবে উজ্জ্বল ও ফর্সা। 

সূচিপত্রঃ ত্বক উজ্জল এবং ফর্সা হওয়ার নিয়ম ্

ত্বক উজ্জল এবং ফর্সা করার ১০টি নিয়ম

একটি সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক কিংবা ফর্সা ত্বক কে না চাই। কেউই কালো হয়ে থাকতে চাই না সবারই উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক চাই। নিজেকে সুন্দর দেখাতে সবাই ভালবাসে। এর জন্যই যুগ যুগ ধরে ফর্সা হওয়ার উপায় মানুষ খুঁজতে খুঁজতে এখনো খুঁজেই যাচ্ছি। 

আমরা যদি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হই তাহলে আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা এগুলো প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকে ফর্সা করবে। এগুলোতে কোন মেডিসিন থাকে না। প্রকৃতভাবে ফর্সা হওয়ার দশটি নিয়ম হল : পানি, গ্রিন টি, টমেটো , গাজর, বাদাম , কলা, মাছ, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, সবুজ শাকসবজি কাঁচা হলুদ।
  • পানি: আমাদের শরীরে যদি পানির পরিমাণ কমে যায়, তাহলে আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যা হয়। তেমনি ও অমাদের ত্বকের সমস্যা হয়। কেননা দেখবেন যখন আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। তখন আমাদের মুখের মধ্যে ব্রণ বের হয়। আমাদের শরীরে যখন পানির পরিমাণ কমে যাবে তখন আমাদের ত্বকের উপর এইটির প্রভাব পড়বে। এর জন্যে আমাদের প্রত্যেকদিন দুই- তিন লেটার পানি খাওয়া প্রয়োজন।
  • গ্রিন টি: গ্রিন টি এর মাধ্যমে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাইতে পারে। কেননা গ্রিন টি শুধু আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় করে না। এটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। গ্রিন টি পান করার মাধ্যমে আমাদের মুখের যে কালো দাগ রয়েছে কিংবা কাটা দাগ কিংবা অন্যান্য ব্রণ এর দাগ‌ এইসব দূর করতেও গ্রিন টি আমাদের সাহায্য করে।
  • টমেটোটমেটো যেমন খাইছে আমাদের অনেক সুস্বাদু লাগে। তেমনি এটি আমাদের ত্বকের যত্নে অনেকেই উপকারী। কেননা এটিতে রয়েছে অনেক উপকারী একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যেটি আমাদের মুখের দাগ গুলো পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। টমেটোতে ভিটামিন বি রয়েছে যেটি ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • গাজর: ভিটামিন এ আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের রোদ থেকে দূরে রাখে যে কারণে গাজর খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে।কেননা যখন আমরা রোদ থেকে দূরে থাকবো। তখন আমাদের কালচে ভাব আসবে না, মুখের মধ্যে। গাজর খাওয়ার মাধ্যমে আমরা উজ্জ্বল একটি ত্বক পেতে পারি। কেননা গাজরে রয়েছে ক্যারোটিন যা থেকে তৈরি হয় ভিটামিন এ।
  • বাদাম: বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে যেমনি আমাদের শরীর পুষ্টি উৎপন্ন হয়। এবং আমাদের মাথার ব্রেন ভালো থাকে। তেমনি বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও ভালো হয়। কেননা বাদামে রয়েছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই।
  • কলা: এর আগেই বলেছি  ভিটামিন এ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের ত্বক অনেক ভালো রাখে ও উজ্জ্বল করে এবং কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ। যেটি আমাদের মুখ থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
  • মাছ: আমরা যদি প্রত্যেকদিন ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ খাই। তাহলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও মলিন হবে। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রত্যেক দিনই নিয়ম করে তেল সমৃদ্ধ ফ্লাইটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ রাখা প্রয়োজন। এটি আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এর জন্য আমাদের এমন ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। যেমন বাদাম, নাশপাতি, মটরশুঁটি এগুলো আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক উজ্জ্বল হয়। সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন যা মাছ মাংস হতেও পাওয়া যায় না বললেই চলে। সবজি শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অনেকটাই প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে তোলে। এবং আমরা যদি এর সাথে শসা সালাত হিসাবে খাই কিংবা অন্যান্য সালাদ খায় এগুলো আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা হলুদ কাঁচা হলুদ মাখার ফলে আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং এটি দুধের সাথে খাওয়ার ফলে আমাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও আমরা ফর্সা হই।
আমরা এতক্ষন ফর্সা হওয়ার ১০টি উপায় জানলাম। নিচে আরও অনেক ধরনের ফর্সা হওয়ার উপায় রয়েছে। তা আপনি পড়লেন আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন ফর্সা হওয়ার বিষয়টা।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা হলো ইসলাম ধর্মের ঈমানের অঙ্গ। আপনি নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, ময়লা আবর্জনা থেকে দূরে থাকুন এবং নিজেকে অনেক পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। যখন আপনি ময়লা আবর্জনা কিংবা আপনি নোংরা অবস্থায় থাকবেন না। তখন আপনার শরীরের যে কালো আবরণটি থাকবে সেটি আস্তে আস্তে দূর হতে লাগবে। 

আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম-  চুল পড়া বন্ধ -ফর্সা হওয়ার উপায় ও বিস্তারিত

এজন্য নোংরা আবর্জনা কিংবা নোংরা কোন কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। নিজে পরিষ্কার থাকলে মন পরিষ্কার থাকবে।   বাজারে অনেক ধরনের ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায়, যে ক্রিমগুলো হয়ে উঠতে পারে আপনার মুখের জন্য অনেক ক্ষতিকর ক্রিম। কেননা বাজারে এমনও ক্রিম রয়েছে যেগুলো আপনার ত্বককে ফর্সা করতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। 

এর জন্য বাজার থেকে কেনা ক্রিম ব্যবহার না করাই উচিত। এগুলো সামরিক সময়ের জন্য আপনাকে ফর্সা করলেও ক্ষতি করবে আপনার ত্বককে।   তাই বাজার থেকে কেনা ক্রিম থেকে বিরত থাকুন।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা সব সময় চাই যে আমাদের ফর্সা তত্ত্বটি সবসময় জন্যই আমরা ফর্সা রাখি। আমরা যখন রান্নাবারা করি, রোদের মধ্যে থাকি, কিংবা নোংরা আবর্জনা, ময়লা কাজ করি। তখন আস্তে আস্তে আমাদের ত্বক খারাপ হতে থাকে কিংবা কালচে হতে থাকে। যার ফলে আমরা আমাদের ফর্সা ত্বক টি হারিয়ে ফেলি। 

তারপরে যখন আমাদের কোন অনুষ্ঠান কিংবা এমনি মনে হয় যে নিজেকে একটু সুন্দর কিংবা ফর্সা দেখাইতে হবে। এই কালচে ত্বক থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে চাচ্ছেন। তখন আপনি পার্লারে যাচ্ছেন ত্বক ফর্সা করার জন্য কিন্তু আপনার জানা ভালো যে পার্লারে ত্বক  ফর্সা করার ফলে আপনার কোন উপকার হয় না। বরং আপনার হচ্ছে অনেক ক্ষতি।

কেননা পার্লারের যেগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলিতে রয়েছে অনেক ধরনের কেমিক্যাল আর কেমিক্যাল যত দামি হোক এটি কখনোই আপনার ত্বককে ভালো রাখবে না। এর জন্য আপনি বাসাতেই বসে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য করতে পারেন , একটি কাজ। কাচা হলুদ ও দুধ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো উপকারী। এই দুইটাই হল  স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়। 

এর জন্য আমাদের ২.৫ চামচ দুধের মধ্যে মিশাতে হবে হাফ  চামচ লেবুর রস। তার মধ্যে মিশাতে হবে হাফ  চামচ  কাঁচা হলুদ। তারপরে এগুলো একসাথে কুটনি দিয়ে বেটে একসাথে করে নিতে হবে পেস্ট এর মত করে। তারপরে এগুলো আমাদের ত্বকে মাখতে হবে।  

তারপরে যখন কিছুক্ষণ পরে এগুলো শুকায় যাবে। তখন এগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে কিন্তু এখানে সত্য হলো এইটা মাখার পরে 12 ঘন্টা আপনি রোদে যেতে পারবেন না। 

প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

হলুদ আর দুধ অনেক যুগ আগে থেকেই মানুষের এই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সব সময় সক্ষম। এর জন্যই প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য সবসময় হলুদের আর দুধের ব্যবহারই হয়। এগুলো ব্যবহার করে আপনি যেমন হবেন ফর্সা। তেমনি আর কখনো  অতিরিক্ত রোদে না থাকলে আপনি ফর্সায় থাকবেন। এটি যদি আপনি নিয়মিত করেন তাহলে আপনার আর আর কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 

আপনি যদি এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধের মধ্যে কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে একসাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। তাহলে আপনার এটি খাওয়ার ফলে ভেতর থেকে আসতে আসতে এটি আপনাকে ফর্সা করে তুলবে। আর এভাবে যদি না পারেন তাহলে আপনি এক গ্লাস দুধ নিবেন তারপরে তার মধ্যে একটি হলুদ কচি কচি করে কেটে অনেক সময় ধরে জাল দিন। 

আরো পড়ুনঃ  অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও গোড়া শক্ত করার উপায় জেনে নিন

যতক্ষণ না দুটি হলুদ রঙ্গের না হচ্ছে। যখন দুটি হলুদ রঙ্গের হয়ে যাবে তখন এটি আপনি পান করুন। এটি প্রত্যেকদিন পান করার ফলে আপনাকে ফর্সা হয় যাবেন এবং আপনার কালচে দাগগুলো উঠে যাবে। 

আমাদের পরামর্শ

প্রাকৃতিক নিয়ম ছাড়া অন্য কোন নিয়মে যদি আপনি আপনার ত্বক ফর্সা করাতে চান। তা হলে হতে পারে সমস্যা কেননা পার্লারে যেগুলো দিয়ে ফেসিয়াল করায় তার মধ্যে বেশিরভাগই কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি এর মধ্যে এসিড ক্ষার ইত্যাদি অনেক কিছুই থাকে।  

এর জন্য ফর্সা হওয়ার জন্য কোন ক্রিম বা অন্যান্য কিছু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। কারণ এগুলো শুধু আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে উপকারে আসে না। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url