njonefire360PostAd

মাথা ব্যথার কারণ কি কি - কমানোর ঘরোয়া ৫ টি উপায় জানুন

আমাদের যদি মাথাব্যথা থাকে তাহলে আমরা ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারি না। এর জন্য আমাদের কথা ও শুনতে হয় অনেকের কাছে। তাই নিজে আলোচনা করা হয়েছে মাথা ব্যথার কারণ কি কি -  কমানোর ঘরোয়া ৫ টি উপায় জানুন 

মাথা-ব্যথার-কারণ-কি-কি?-কমানোর-ঘরোয়া-৫-টি-উপায়-জানুন

সূচিপত্রঃ মাথা ব্যথার কারণ কি কি - কমানোর ঘরোয়া উপায়  ,

মাথা ব্যথার কারণ কি কি -  কমানোর ঘরোয়া ৫ টি উপায় জানুন 

কারণ 

আমাদের মাথা ব্যাথা হয় টেনশনের কারণে কিংবা না ঘুমানোর কারণে। এজন্য আমাদের প্রত্যেক দিন ঠিকমতো. ঠিক সময় ঘুমানো উচিত। আর যদি আমাদের মাথাব্যথা মাইগ্রেনের জন্য হয় তাহলে আমাদের সেটি সমাধান করতে হবে ব্যায়াম করে, কিছু ওষুধ খেয়ে।

আমরা যখন চিন্তা কিংবা টেনশন করবো না তখন আমাদের এই মাইগ্রেন সমস্যাটাও আমাদের ঠিকমতো দেখা দেবে না। এর জন্য আমাদের চিন্তা টেনশন বাদ দিতে হবে। ঠিকমতো ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে এবং আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

মাথা ব্যথা কমানো ঘরোয়া উপায়

মাথাব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা। এটি আমাদের নিয়মিত হয়তোবা হয়ে থাকে। কারো হয়তো বা দুইদিন, তিনদিন পরে কারো হয়তোবা এক সপ্তাহ পর কিংবা কারো হয়তো বা প্রত্যেক দিনই মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এর জন্য আমরা কি করি আমরা যে হাতের কাছে যে ফার্মেসি পায় নিজের ইচ্ছামত ওষুধ খেয়ে ফেলি।

যেমন প্যারাসিটামল কিংবা মাথাব্যথার ব্যাথা নাশক ওষুধ খেয়ে ফেলি। এটি আমাদের শরীরের জন্য মোটেও সুবিধার কিংবা ভালো নয়। এর জন্য আমরা করতে পারি ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা। যেমন: আদা, লবঙ্গ, দারচিনি।

  • আদা: মাথাব্যথার সময় আমাদের শরীরের মধ্যে যে রক্তবাহিকা গুলো থাকে সেগুলোর তাপ প্রদাহ মোটেও ঠিক থাকে না। এর জন্য আমাদের আদা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে তাপ প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। এর জন্য আমরা চায়ের মধ্যে আদা দিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মাথা ব্যথা ঠিক হয়ে যেতে পারে। কেননা আদাতে আন্টি অক্সিডেন্ট ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি যৌগতে ভরপুর। এজন্য মাথাব্যথার সময় আমাদের আদা চা খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যেতে পারে।
  • লবঙ্গ: লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমেও আমাদের মাথার ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে যেমন আমাদের শরীরের সর্দি,কাশি ভালো হয়ে যায়। তেমন ভাবেই চায়ের সাথে যদি আমরা লবঙ্গ খাই তাহলে আমাদের শরীর ঠিক একইভাবে প্রদাহ কমে গিয়ে মাথাব্যথা ভালো হয়ে যাবে। আবার যদি আমরা এমনটা করতে পারি যে মাথাব্যথার সময় লবঙ্গ নাকের কাছে নিয়ে তার ঘ্রাণ মাঝে মাঝে নেই। তাহলে আমরা মাথা ব্যথার থেকে মুক্তি নিতে পারি কিংবা জিব্বাতে দিয়ে যদি আমরা সেই টি চুষে খাই তাহলেও আমাদের মাথা ব্যথা ভালো হতে পারে।
  • দারচিনি: দারচিনি হয়তোবা আমাদের প্রত্যেকের ঘরে তেই থাকে। এটি যদি আমরা গুড়া করে চায়ের সাথে খাই তাহলে আমাদের মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি মিলবে। আমাদের কিংবা আমরা যদি দারচিনি গুড়া করে তেলের সাথে মিশিয়ে মাথাতে মালিশ করি। তাহলেও আমাদের মাথাব্যথা কমবে।

মাথায় চাপ ধরে থাকার কারণ

আমরা অনেকেই মাথায় চাপ ধরে থাকা কিংবা মাথা অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যথা করা, মাথার পিছনে কিংবা মাথায় সামনের দিক থেকে অনেকটা চাপ প্রয়োগ করার মতো সমস্যায় ভুগে থাকি। এমন সমস্যার কারণ হলো চিন্তা করা।

মাথার পেছনের দিকে কিংবা সামনের দিকে ব্যথা করার মূল কারণ হলো চিন্তা, টেনশন করা। আমরা যখন অতিরিক্ত পরিমানে চিন্তা করি কিংবা টেনশন করি। তখন আমাদের এই মাথাব্যথা কিংবা মাথা চাপ ধরে থাকার সমস্যা গুলো হয়।
 
এই সমস্যাটি আমাদের ৩০ মিনিট থাকে প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত। আমাদের ঘুমের কমতি হলে আমাদের মাথার পিছনে ও সামনের দিকে কিছুটা ব্যথা অনুভব হয়। আমরা যখন রাতে ঠিকমতো না ঘুমাই কিংবা ঘুমের অভাব হয়। তখন আমাদের মাথা চাপ ধরে থাকে কিংবা মাথা ব্যথা করে।

মাথার একপাশ  ব্যথার কারণ কি

মাথার এক পাশের এই ব্যথার সমস্যা টিতে বেশিরভাগ মেয়েরাই ভোগে। মাথার এক পাশের এই ব্যাথা টির কারণ হতে পারে মাইগ্রেন। কিভাবে বুঝবেন আপনার মাইগ্রেন হয়েছে কিনা? যখন মাইগ্রেন হবে তখন দেখবেন আপনার মাথার এক পাশে ব্যথা হচ্ছে এবং আস্তে আস্তে পুরো মাথাটাই ব্যথা হয়ে যাচ্ছে।

 অনেক সময় পরে এমনও হইতে পারে যে আপনার চোখের মধ্যেও হালকা ব্যথা হচ্ছে। এমন সময় হয়তো বা আপনার বমি বমি ভাবো আসতে পারে। মাইগ্রেনের জন্য এর জন্য ধরা যায় যে মাথার এক পাশে থেকে শুরু হওয়ার ব্যথার কারণ হলো মাইগ্রেন।

মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ

মাথা ব্যথা ও বমি মাইগ্রেনের লক্ষণ। এমন সময় আপনার অতিরিক্ত মাথাব্যথা কিংবা বমি বমি ভাবও হতে পারে। আপনার মাথা ব্যথাটা এমন হবে যে আপনার মাথার এক পাশে প্রথমে ব্যথা শুরু হবে। তারপরে আস্তে আস্তে আপনার পুরো মাথাটাই ব্যথা হতে শুরু করবে।

মাথা-ব্যাথা-ও-বমি-কোন-রোগের-লক্ষণ-জানুন

এমন সময় আপনার অতিরিক্ত গরম কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগতে পারে। বমি বমি ভাব হতে পারে, ঘাম আসতে পারে, অনেক পরিমাণে কোন কিছুর উপর থেকে মনোযোগ উঠে যেতে পারে, পেট ব্যথা কিংবা ডায়রিয়া ও হতে পারে তখন বুঝবেন যে আপনার মাইগ্রেন হয়েছে।

মাথা ব্যথা কমানো ব্যায়াম

  • বজ্রাসন: এই বজ্রাসন আসন করার মাধ্যমে আমরা মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এটি করার জন্য আমাদের সোজা হয়ে বসতে হবে। সামনের দিকে পা সোজা করে ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপরে নামাজের যেভাবে আপনি বসেন সেই ভাবে হাঁটু মোরে দিয়ে তার ওপরে বসুন। আপনার পায়ের গোড়ালি গুলো জড়ো করে রাখুন পিঠের থাকে সেটি দিয়ে সোজা করে বসুন। তারপরে হাত দুটো সামনের দিকে একসাথে লাগিয়ে কিছুক্ষণ এভাবে বসে থাকুন।
  • ঊষ্ট্রাসন: ঠিক একই নিয়মে হাঁটু গেড়ে বসুন তার উপরে বসার পরে পিছনের দিকে কিছুটা হেলে গিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশটা সামনের দিকে নিয়ে আসুন। তারপরে উঠে দাড়িয়ে পায়ের পাতা গুলো মাটিতে রাখুন তারপরে আস্তে আস্তে শ্বাস নি।
  • শশাঙ্গাসন: ঠিক একই নিয়মে হাঁটু গেড়ে বসুন। তারপর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে আনার চেষ্টা করুন। যেন আপনি কপাল দিয়ে মাথা ছুঁইতে পারছেন তারপরে আপনার দুই হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি গুলো ধরার চেষ্টা করুন। এবং স্বাভাবিকভাবে করুন।
কয়েকটি ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের এই মাথাব্যথা সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি।
আরো পড়ুনঃ আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মাথা ব্যথার ওষুধের নাম

কিছু ধরনের মাথাব্যথা জন্য কিছু ধরনের ওষুধ একটা করে খাইলেই হবে।

 যেমন: 

  • মাইগ্রেনের জন্য মাথাব্যথা: Extra, Lasmi, Noricum, Tufnil, Rizamig  যে কোন একটা খাইলেই এটি ঠিক হতে পারে।
  • সাইন্সোইটিস এর মতো মাথা ব্যথা: এই ব্যথা কমানোর জন্য এন্টিবায়োটিক খাইতে হয় এবং এর পাশাপাশি খেতে পারেন। Pizofen, Napa, Topiva ।
  • টেনশনের কারণে যদি মাথা ব্যথা হয়: যখন টেনশন হয় তখন আমাদের মূলত ঘুম আসে না এর জন্য আমরা খেতে পারি। Napa Extra, Tryptin, Pizofen, Nexcital, Setra, Emijoy।

মাথা ব্যথার মহলম

মলম হিসাবে আমরা অনেক ধরনের মলম ব্যবহার করি। তবে এই ক্ষেত্রে জাম্বাগ ব্যবহার করাই উত্তম জাম্বাগ আপনি কোন ভ্রাম্যমান দোকানে পাইতে পারেন।

আমাদের পরামর্শ 

যদি অতিরিক্ত পরিমানে মাথা ব্যথা হয় তা হলে যদি ঘরোয়া উপায় কিনবা চা কিংবা সাধারণ ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে যদি আপনার মাথা ব্যথা ঠিক না হয়। তাহলে একটি ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপরে ওষুধ  খাওয়াই উত্তম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url