অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা কি? অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানুন
অ্যালোভেরার জুস একটি উপকারী খাদ্যদ্রব্য। কিন্তু আমরা যদি ভুল নিয়মে অ্যালোভেরার চুল বানিয়ে খাই তবে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রিয় পাঠক নিচে অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা কি? অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানুন।
সূচিপত্রঃ অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা কি? অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানুন
অ্যালোভেরার জুস যদি আমরা প্রত্যেক দিন পান করি। তাহলে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের রোগ হবে না।
- অ্যালোভেরা মূলত আমাদের হার্টের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের হার্টের মধ্যে যে দূষিত রক্ত চাপ থাকে। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এবং আমাদের রক্ত কণিকা কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জুস এটি যদি আমরা রেগুলার খাই তাহলে আমাদের হার্ড সুস্থ থাকবে।
- অ্যালোভেরা আমাদের শরীরের কোন ব্যথা কিংবা হাড়ের ব্যথা , মাংসের মধ্যে যদি কোন রকম ব্যথা থাকে। তাহলে এলোভেরার জুস প্রত্যেকদিন খাবার কারনে , সেই ব্যথা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
- দাঁতের মধ্যে যদি কোন ব্যথা থাকে কিংবা মারিতে যদি কোন ধরনের ব্যথা থাকে , তাহলে সেই ব্যথা দূর করতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারীতা। এবং অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার কারণে দাঁত ক্ষয় ও প্রতিরোধ হয়। যদি মুখের মধ্যে কোন ধরনের ইনফেকশন থাকে তাহলে সেটিও অ্যালোভেরা জুস দূর করতে সক্ষম।
- আপনি যদি মোটা থেকে চিকন হতে চান কিংবা আপনার শরীরের ওজন যদি কমাতে চান তাহলে অ্যালোভেরা জুস খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- আমাদের যদি খাদ্য হজম হতে সমস্যা হয় ,তাহলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিবে এর জন্য প্রত্যেক দিন অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার কারণে ,আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও পাকস্থলী সুস্থ থাকে।
- অ্যালোভেরা সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে যে , কারণে আমাদের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরার জুস বেশি পরিমাণে খেলে সমস্যা হতে পারে।
- আবার অ্যালোভেরা যে আঠার মত অংশ থাকে সে অংশ খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম
একটি পাত্রে এক চামচ তোকমা দানা দিয়ে এক গ্লাস পরিমাণ পানি দিন। সেই তোকমা দানা গুলো পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস তৈরি করতে এক চামচ তোকমা দানায় যথেষ্ট । কিছুক্ষণ তোকমা দানা টি ভিজিয়ে রাখুন এরপর একটি অ্যালোভেরার ডাল নিন। সেটি টুকরো টুকরো করে দশ , বিশ মিনিটের মতো পানিতে রেখে দিন।
যাতে করে এলোভেরার হলুদ আবরণ কেটে যায়। যখন হলুদ আবরণ গুলো কেটে যাবে বা কোষগুলো কেটে যাবে। তখন পানি থেকে বের করুন এরপরে , এলোভেরার জেলটি অ্যালোভেরা ডাল থেকে বের করুন। জেলটি একদম পেস্ট এর মত করে নিন।
এরপরে যে পাত্রে তোকমা দানা ভিজানো রয়েছে। সেই পাত্রে জেলটি নিয়ে নিন , তারপরে একটি চামচ সাহায্যে জেল গলিয়ে নিন। নাড়িয়ে নাড়িয়ে যখন নাড়ানো হয়ে যাবে , দিয়ে পেস্ট এর মত হয়ে যাবে। তখন এক টুকরা লেবু তার মধ্যে রস করে দিয়ে দিন।
তারপরে আপনার স্বাদ অনুযায়ী এক চামচ লবণ দিন। আপনার যদি মিষ্টি খাইতে ইচ্ছে করে , তাহলে চিনি বাদে মধু দিতে পারেন। তারপরে পুরোটা গুলিয়ে নিয়ে যখন জুস আকারে হয়ে যাবে। তখন খেয়ে নিন।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম
আমাদের শরীরে গরমের সময় ঘামাচি বা রেশ ওঠে। এলোভেরার জুস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে এই রেশ বা ঘামাচি ঠিক যাবে। আমরা অনেকেই জানি না অ্যালোভেরা কি করে খেতে হয় ? মূলত জুস করে খেতে হয়। আপনি এমনিতে ও খাইতে পারবেন কিন্তু জুস করে খাইলে মজা পাবেন।
আবার খাইতে ও তিতা তিতা ভাব লাগবে না। নিয়মিত সকালে এক গ্লাস করে অ্যালোভেরার জুস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রত্যেকদিন এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস খেয়ে আমাদের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাহলে আমাদের এক গ্লাস করে সকালবেলা অ্যালোভেরা জুস খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কি হয়
খালি পেটে অ্যালোভেরা খাওয়া খুবই উপকারী। এটি আপনার দৈনন্দিন কাজ কর্মে আপনার শরীরে যে ঘাটতিগুলো হয় , সেগুলো পূরণ করতে সাহায্য করে। আপনার শরীরে পানি শূন্যতা বা আরো অন্যান্য বিষয়ে অ্যালোভেরা আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের উষ্ণতা দূর করে , ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী।
অ্যালোভেরা রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড , ভিটামিন সি , ভিটামিন 12 , এটি আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার করে। অ্যালোভেরা যদি প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে এটি আপনার শরীরের নানা ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এবং প্রত্যেকদিন অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে যে শরীরে রোগ গুলো আছে সেগুলো ঠিক হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url