আবেগ নিয়ন্ত্রণ - নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপায় কি? তা বিস্তারিত জানুন
আমরা যখন নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ ফেলব। তখন আমাদের কারো প্রতি মায়া জন্মাবে না। আবেগ নিয়ন্ত্রণ - নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপায় কি? তা বিস্তারিত জানুন এই পোস্টটি পড়ার পরে আবেগ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় আপনি তা জেনে যাবেন।
আমরা যখন জেনে নেব আবেগ ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সঠিক উপায়। তখন আমরা খুব সহজে আমাদের জীবনযাত্রা ভালো করতে পারব। প্রিয় পাঠক নিচে আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি।
সূচিপত্র ঃ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা-নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় জেনে নিন এই পোস্ট থেকে
বুক ধড়ফড় করে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। আমরা ঘেমে যাই,অস্থিরতা বোধ করি,কৌশল হচ্ছে আপনাকে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম যেটা সিমপ্যাথেটিক এর অপোজিট সেটাকে সক্রিয় করে তুলতে হবে।
আপনি 5 সেকেন্ড শ্বাস নিবেন, পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখবেন আর পাঁচ সেকেন্ড ধরে ছেড়ে দেবেন। শ্বাস নেয়ার সময় আপনি নাক দিয়ে শ্বাস নেবেন আর ছাড়ার সময় আপনি নাক বা মুখ যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ হল শ্বাস নেওয়ার সময় আপনার একটি হাত পেটের উপরে রাখবেন আর চেষ্টা করবেন।
যখন আপনি লম্বা করে শ্বাস নেবেন তখন যেন আপনার পেটের উপরে থাকা হাতটি উপরে উঠে আসে। আপনাকে পেট দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। আমরা যখন বুক দিয়ে নিঃশ্বাস নেই তখন আমাদের ফুসফুস প্রসারিত হয় না। আমরা যখন পেট দিয়ে নিশ্বাস নিব তখন আমাদের ফুসফুস প্রসারিত হবে।
আপনার এখন করণীয় আপনার মনকে ভবিষ্যৎ কিংবা অতীত থেকে বর্তমানে নিয়ে আসতে হবে।এতে করে আপনার নেগেটিভ ইমোশন টি আর কাজ করবে না । ধরেন আপনি একটি বই পড়ছেন তো বইয়ের লাইন গুলো খুব ভালো করে দেখুন। যদি কিছু শুনেন তাইলে সেটি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
আপনি আপনার ভালো লাগার কারণ গুলি খুঁজুন। কি করলে আপনার বেশি ভালো লাগে? সেই কাজটাই আপনি করুন।
তারপরে তার কথার উত্তরটি দিন ১,২,৩ এইভাবে গুনার ফলে আপনার মস্তিষ্ক ওই কথাটি উত্তর দেওয়ার জন্য একটু সময় পাবে। এভাবে একটু থেমে থেমে কথা বললে আপনি আপনার কথা কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
আপনি আপনার কাজকর্মে ফোকাস করতে পারবেন কোন কিছু শেখা বা লান্ড করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আপনাক ফোকাস করতে হবে।
আপনি আপনার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন চারপাশে যে প্রলোভন গুলো আছে। সে প্রলোভন আপনি এড়িয়ে চলতে পারবেন এবং নিজের লক্ষ্যের দিকে যেতে পারবেন।
চারপাশে যে মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক যে ঝগড়া ঝাটিগুলো থাকে এগুলো আপনি এড়িয়ে চলতে পারবেন।
আমরা অনেক সময় অনেক ক্ষতিকারক বিহেভিয়ার এর সাথে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলি। যেমন আমরা নেশা করি ,লম্বা সময় ধরে টিভি দেখি, স্মার্টফোন ইউজ করি, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করি নিজের শরীরের যত্ন নেই না এইসব থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন।
ধরেন আপনার মাথায় এরকম চিন্তা আসে যে আপনার কোন যোগ্যতা নাই তাহলে ,কিছুক্ষণ পরে আপনার মধ্যে এরকম আবেগ তৈরি হবে যে বিষন্নতা বা কোন কিছু ভালো লাগেনা যদি এই আবেগ তৈরি হয় তাহলে একটু পরে আপনার কোন কাজ করতে ভালো লাগবে না।
আবেগ আপনার চিন্তা এবং আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করছে ।
ধরেন, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়ালেন। আপনার ঠোঁট শক্ত করেন, আপনার চোয়াল শক্ত করেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কে দ্রুত করেন, এরপরে মানুষ রেগে গেলে যেরকম হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে।
সেরকম হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে একটু পরে দেখবেন যে আপনার মাথায় এরকম চিন্তা আসছে। যে আমার কারো সাথে ঝগড়া করা দরকার বা প্রতিশোধ নেওয়া দরকার।
এবং আপনার মনের মধ্যে রাগের আবেগ তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ কোন ঘটনা ঘটা ছাড়াই আপনি শুধুমাত্র আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রাগের ভঙ্গি যদি করেন তাহলে এই রাগের ভঙ্গি থেকে আপনার আবেগ এবং আপনার চিন্তা তৈরি হয়। চিন্তা আবেগ আচরণ একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আচরণের কোন একটা কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনটায় নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে।
আমরা যখন জেনে নেব আবেগ ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সঠিক উপায়। তখন আমরা খুব সহজে আমাদের জীবনযাত্রা ভালো করতে পারব। প্রিয় পাঠক নিচে আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি।
সূচিপত্র ঃ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা-নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় জেনে নিন এই পোস্ট থেকে
আবেগ নিয়ন্ত্রণ - নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপায় কি? তা বিস্তারিত জানুন
নিজেকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার প্রথম টেকনিক হচ্ছে ডিস্ট্রাকশন ।আপনার নেগেটিভ চিন্তা এবং নেগেটিভ আবেগ থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখেন। আপনার ব্রেইন কিছুক্ষণ পরে নেগেটিভ ইমোশন থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ব্রেইন যদি শান্ত হয় তাহলে আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। মনোযোগ সরিয়ে রাখার জন্য কি করতে পারেন ?
একটা জিনিস বলা হয় যে যেই কাজটা আপনার পছন্দ বা যেটা আপনার শখের কাজ সেটা আপনি করতে পারেন । সেটা হতে পারে বই পড়া, ছবি আঁকা বাগান করা ইত্যাদি াতাহলে এটা আপনাকে আপনার নেগেটিভ চিন্তা এবং নেগেটিভ আবেগ থেকে ডিস্ট্রিক করে রাখবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে আবেগ নিয়ন্ত্রণ
আমরা যখন নেগেটিভ ইমোশন বা নেগেটিভ চিন্তার মধ্য দিয়ে যাই। তখন আমাদের একটা নার্ভাস সিস্টেম আছে সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম যেটা সক্রিয় হয়ে ওঠে।বুক ধড়ফড় করে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। আমরা ঘেমে যাই,অস্থিরতা বোধ করি,কৌশল হচ্ছে আপনাকে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম যেটা সিমপ্যাথেটিক এর অপোজিট সেটাকে সক্রিয় করে তুলতে হবে।
আপনি 5 সেকেন্ড শ্বাস নিবেন, পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখবেন আর পাঁচ সেকেন্ড ধরে ছেড়ে দেবেন। শ্বাস নেয়ার সময় আপনি নাক দিয়ে শ্বাস নেবেন আর ছাড়ার সময় আপনি নাক বা মুখ যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ হল শ্বাস নেওয়ার সময় আপনার একটি হাত পেটের উপরে রাখবেন আর চেষ্টা করবেন।
যখন আপনি লম্বা করে শ্বাস নেবেন তখন যেন আপনার পেটের উপরে থাকা হাতটি উপরে উঠে আসে। আপনাকে পেট দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। আমরা যখন বুক দিয়ে নিঃশ্বাস নেই তখন আমাদের ফুসফুস প্রসারিত হয় না। আমরা যখন পেট দিয়ে নিশ্বাস নিব তখন আমাদের ফুসফুস প্রসারিত হবে।
অতীত ভবিষ্যৎ ভুলে বর্তমানে থাকা
আপনার মনে যখন নেগেটিভ ইমোশন তৈরি হয়। তখন আপনি বুঝে নিবেন আপনার মন হয়তো বা ভবিষ্যতে পড়ে আছে নাইলে অতীতে। যদি আপনার দুশ্চিন্তা হয় তাইলে ভাববেন আপনার মন ভবিষ্যতে পড়ে আছে। আর যদি কোন বিষয়ে খারাপ লাগা তৈরি হয় তাইলে ভাববেন আপনার মন অতীতে পড়ে আছে।আপনার এখন করণীয় আপনার মনকে ভবিষ্যৎ কিংবা অতীত থেকে বর্তমানে নিয়ে আসতে হবে।এতে করে আপনার নেগেটিভ ইমোশন টি আর কাজ করবে না । ধরেন আপনি একটি বই পড়ছেন তো বইয়ের লাইন গুলো খুব ভালো করে দেখুন। যদি কিছু শুনেন তাইলে সেটি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
আপনি আপনার ভালো লাগার কারণ গুলি খুঁজুন। কি করলে আপনার বেশি ভালো লাগে? সেই কাজটাই আপনি করুন।
মনকে হাসিখুশি রাখা
আপনার যদি মন খারাপ থাকে কিংবা মাথার মধ্যে খারাপ চিন্তা থাকে তাইলে আপনি মন খুলে হাসুন। আপনি যদি কোন কারণ ছাড়াই হাসিমুখ করে রাখেন কয়েক মিনিট আপনার মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কথা বলার সময় নিন
আপনার সাথে কোন খারাপ ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে রিঅ্যাক্ট না করে একটু সময় নিন। তারপরে সেই বিষয়টা নিয়ে কথা বলুন ।আপনি এমন টাও করতে পারেন আপনাকে যদি কেউ কোন কিছু জিজ্ঞেস করে তাইলে আপনি ১,২,৩ পর্যন্ত গুণুন।তারপরে তার কথার উত্তরটি দিন ১,২,৩ এইভাবে গুনার ফলে আপনার মস্তিষ্ক ওই কথাটি উত্তর দেওয়ার জন্য একটু সময় পাবে। এভাবে একটু থেমে থেমে কথা বললে আপনি আপনার কথা কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার যে সকল সুবিধা
আপনার মধ্যে যদি নেগেটিভ চিন্তা বা নেগেটিভ ইমোশন থেকে থাকে তাইলে সেটা কমে যাবে ।আপনি আপনার কাজকর্মে ফোকাস করতে পারবেন কোন কিছু শেখা বা লান্ড করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আপনাক ফোকাস করতে হবে।
আপনি আপনার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন চারপাশে যে প্রলোভন গুলো আছে। সে প্রলোভন আপনি এড়িয়ে চলতে পারবেন এবং নিজের লক্ষ্যের দিকে যেতে পারবেন।
চারপাশে যে মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক যে ঝগড়া ঝাটিগুলো থাকে এগুলো আপনি এড়িয়ে চলতে পারবেন।
আমরা অনেক সময় অনেক ক্ষতিকারক বিহেভিয়ার এর সাথে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলি। যেমন আমরা নেশা করি ,লম্বা সময় ধরে টিভি দেখি, স্মার্টফোন ইউজ করি, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করি নিজের শরীরের যত্ন নেই না এইসব থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন।
আমাদের চিন্তা বা আবেগ আমাদের যেভাবে প্রভাবিত করে
আমাদের চিন্তা এবং আবেগ আমাদের আচরণকে প্রভাবান্বিত করে। আমরা জানি যে আমাদের চিন্তা এবং আবেগ এবং আমাদের আচরণ এই তিনটা জিনিস হচ্ছে একটা আরেকটার সাথে সংযুক্ত।ধরেন আপনার মাথায় এরকম চিন্তা আসে যে আপনার কোন যোগ্যতা নাই তাহলে ,কিছুক্ষণ পরে আপনার মধ্যে এরকম আবেগ তৈরি হবে যে বিষন্নতা বা কোন কিছু ভালো লাগেনা যদি এই আবেগ তৈরি হয় তাহলে একটু পরে আপনার কোন কাজ করতে ভালো লাগবে না।
আবেগ আপনার চিন্তা এবং আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করছে ।
ধরেন, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়ালেন। আপনার ঠোঁট শক্ত করেন, আপনার চোয়াল শক্ত করেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কে দ্রুত করেন, এরপরে মানুষ রেগে গেলে যেরকম হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে।
সেরকম হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে একটু পরে দেখবেন যে আপনার মাথায় এরকম চিন্তা আসছে। যে আমার কারো সাথে ঝগড়া করা দরকার বা প্রতিশোধ নেওয়া দরকার।
এবং আপনার মনের মধ্যে রাগের আবেগ তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ কোন ঘটনা ঘটা ছাড়াই আপনি শুধুমাত্র আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রাগের ভঙ্গি যদি করেন তাহলে এই রাগের ভঙ্গি থেকে আপনার আবেগ এবং আপনার চিন্তা তৈরি হয়। চিন্তা আবেগ আচরণ একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আচরণের কোন একটা কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনটায় নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে।
আমাদের পরামর্শ
আশাকরি প্রিয় পাঠক আপনি আপনার প্রশ্নের সকল ধরনের উত্তর পেয়ে গেছেন। তারপরেই যদি আপনার কথা বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে দয়া করে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাকে এখানে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাইলাম এগুলো অনুসরণ করলেই আশা করা যায়। আপনি নিজের আবেগ ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url